ফেসবুক পোস্টের পর এবার তাঁর তৃণমূল ত্যাগের জল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আজই দিল্লি যাচ্ছি। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তিনি।
এদিন শতাব্দী বলেন, ‘সাংসদ হওয়ার পর আমি অধিকাংশ সময় এলাকার মানুষের সঙ্গে কাটিয়েছি। কিন্তু গত ২ বছর ধরে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইলেও পারছি না। আমি প্রায় এলাকায় যাইনি। আমি কার জন্য যেতে পারছি না। মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। তাই তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া আমার দায়িত্ব। তারা আমাকে প্রশ্ন করছে, অপনি কি রাজনীতি ছেড়ে দিলেন’?
এর পরই শতাব্দী জানান, ‘আমি আজ দিল্লি যাচ্ছি। সেখানে বন্ধু, আত্মীয়-পরিজনরা রয়েছেন। তাদের সঙ্গে দেখা হবে। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক থাকে। তিন বারের সাংসদকে দিল্লি যেতে কারণ বলতে হবে? ওটাই তো এখন আমার ঘরবাড়ি’।
দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হতে পারে কি না এই প্রসঙ্গে তিন বলেন, ‘পরিচিত মানুষদের সঙ্গে দেখা হতেই পারে। তবে সেটাকে বৈঠক বলা ভুল হবে। আমি বলছি না যে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবোই। তবে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। ওনার সঙ্গে মিটিং করতেই যাচ্ছি এমনটা নয়। দেখা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়’।
তবে বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, ‘বিজেপিতে যোগদান করবো এমনটা বলিনি। আমি আমার ভোটারদের কাছে দায়বদ্ধ। তারা যেন আমাকে প্রশ্ন না করে যে আপনাকে দেখতে পাই না কেন? তাদের জবাব দেওয়া আমার কর্তব্য’।
দলকে ক্ষোভের কারণ না জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘দলনেত্রীকে ক্ষোভের কথা জানাইনি কারণ, অনেক সময় মনে হয় জানানো যায় না। অনেক সময় মনে হয় জানিয়ে লাভ নেই। অনেক সময় মনে হয় কাকে জানাবো’।
কেন তাঁর এই সিদ্ধান্ত তা সরাসরি জানাননি শতাব্দী। তবে তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যপদে ইস্তফা পাঠানোর কারণ হিসাবে তিনি যা বলেছেন তাতে অনুমান করা যায়। তিনি বলেন, ‘আমি ২ বার তারাপীঠ উন্নয়ন পর্যদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু গৃহীত হয়নি। যেখানে আমার সিদ্ধান্তের গুরুত্ব নেই সেখানে থাকতে চাই না’।
শতাব্দীর প্রতিক্রিয়া নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র সৌগত রায় বলেন, ‘অমিত শাহের সঙ্গে শতাব্দীর হঠাৎ দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সময় নিয়ে তবেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভব। আমি শতাব্দীকে ফোনে পাচ্ছি না। ওকে বলবো, দলের সঙ্গে কথা না বলে যেন কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়।’