দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণার পরই শতাব্দী রায়ের মান ভাঙাতে তৎপর হল তৃণমূল। শুক্রবার দুপুরে কলকাতায় শতাব্দী রায়ের বাড়িতে যান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শতাব্দীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। তবে বৈঠকের নির্যাস তৃণমূল সূত্রে এখনো জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার দলত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। শুক্রবার সকালে সরাসরি দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। জানান, দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। কথা হতে পারে অমিত শাহের সঙ্গেও।
এরই মধ্যে তৃণমূলের তরফে শতাব্দীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়। দলের ক্রাইসিস ম্যানেজার সৌগত রায় জানান, শতাব্দীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারিনি। এর পর দুপুরে শতাব্দীর প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ফ্ল্যাটে পৌঁছন কুণাল ঘোষ।
এর কিছুক্ষণ পর আবাসন থেকে বেরনোর সময় শতাব্দীর স্বামী সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ক্ষোভ তো নিশ্চই রয়েছে। কুণালবাবু এসেছেন। কী কথা হয় দেখি। ও দিল্লি যাচ্ছে। তবে ওর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।’ বলে রাখি, রাজ্য সরকারের একাধিক কমিটির সদস্য শতাব্দী রায়ের স্বামী।
শতাব্দী রায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘শতাব্দী রায় আমার পুরনো বন্ধু। আমি কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গে গল্প করলাম। শতাব্দী রায় তাঁর সিদ্ধান্ত নেবেন। এব্যাপারে দল ও শতাব্দী রায় সিদ্ধান্ত নেবে।’
ওদিকে শতাব্দীকে নিয়ে সাবধানী মন্তব্য করেছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘শতাব্দী আমাকে কখনো তাঁর ক্ষোভের ব্যাপারে জানাননি। হটাৎ কী হল জানি না। উনি যতক্ষণ দলে রয়েছেন কিছু বলবো না। তবে উনি তৃণমূল কর্মীদের ভোটে জিতেছেন। আর তৃণমূলে কর্মীরাই বড়, নেতারা বড় নন।’