দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ইতি দিলেও শতাব্দী রায়ের সঙ্গে তৃণমূলের সমীকরণ যে এখনো পুরোপুরি মেলেনি টের পাওয়া গেল রবিবার। নতুন পদপ্রাপ্তির পর তারাপীঠ সফরে গিয়ে শতাব্দী যেমন বোঝালেন অবস্থান থেকে সরবেন না তিনি। তেমনই সাংসদকে এড়িয়ে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যে মন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন তাঁরাও অনড়।
শুক্রবার বিদ্রোহে ইতি টানার পর শনিবার শতাব্দীকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতির পদ দেয় তৃণমূল। রবিবার নিজের সংসদীয় এলাকার মধ্যে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে আসেন সাংসদ। সেখানে তিনি জানান, তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদে থাকতে চান না তিনি। যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই সেখানে থেকে লাভ কী? সঙ্গে শতাব্দী বলেন, আমি আগেই তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। এই ডামাডোলের মধ্যে ফের ইস্তফা দিলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আমি ওই পদে থাকতে চাই না। বলে রাখি, তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন শতাব্দীর গোটা সফরে আশিসবাবুকে তাঁর ধারে কাছে দেখা যায়নি। সাংসদ যখন তারাপীঠে তখন তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন বলে খবর। শতাব্দীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, তারাপীঠ উন্নয়ন পর্ষদে যথেষ্ট কাজ হয়। করোনার জন্য গত ১ বছর কাজের গতি কিছুটা কমেছে। কিন্তু পর্ষদের শেষ বৈঠকেও সাংসদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার শতাব্দীর বিদ্রোহের পর রাতারাতি মিটমাট ও সাংসদের দলীয় পদপ্রাপ্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু রবিবারের ঘটনাক্রমে বোঝা গেল কলকাতায় পরিস্থিতি ঠান্ডা হলেও বীরভূমে অবস্থা এখনো বেসামাল।