ভোটের সময়ে ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগ বিস্তর উঠছে। এবার চার–চারটি ইভিএম মেশিন নিয়ে যেতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে গেলেন দুই নির্বাচনী আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার বিকেলে তামিলনাডুর ভালাচেরি এলাকায়। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জানা গিয়েছে, ইভিএম মেশিনগুলিকে নিয়ে যখন মোটর সাইকেলে করে তারামণি মেইন রোড ধরে যাচ্ছিলেন ওই আধিকরিকরা, তখন একটি মেশিন আচমকাই রাস্তায় পড়ে যায়।মেশিনটিকে যখন তুলতে যাচ্ছিলেন ওই আধিকারিক, তখন এক পথচারী তা দেখে ফেলেন।ওই আধিকারিককে তিনি আটকান। সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের এলাকা থেকে আরও অনেকে চলে আসেন। জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিকদের কাছ থেকে ইভিএম মেশিন ছাড়াও বেশ কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই আধিকারিকদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোয় প্রচুর ডিএমকে ও কংগ্রেস সমর্থক। তাঁরা পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেন।স্বভাবতই গোটা ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এই ঘটনার পরই স্থানীয বাসিন্দারা ও বিরোধী দলের নেতারা রাস্তায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা ওই দুই আধিকারিককে গ্রেফতারের দাবি জানান। শেষপর্যন্ত পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওই দুই আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তামিলনাডুর মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সত্যব্রত সাহু জানান, ওই মেশিনগুলি আদৌ নির্বাচনের কাজে ব্যবহার হয়নি। সেগুলি অতিরিক্ত মেশিন হিসেবে রাখা হয়েছিল। তবে জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের রিপোর্টের ভিত্তিতে বোঝা গিয়েছে, ইভিএম মেশিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ওই দুই আধিকারিক নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছিলেন।
ভালাচেরির রিটার্নিং অফিসার ভিআর শুভলক্ষ্মী জানান, একজন কর্পোরেশনের কর্মী ও ওই দুই নির্বাচনী আধিকারিককে এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, ওই আধিকারিকদের কাছ থেকে দুটি ব্যালট ইউনিট, একটি কন্ট্রোল ইউনিট, একটি ভিভিপ্যাট মেশিন পাওয়া গিয়েছে। ব্যালট ইউনিট ও কন্ট্রোল ইউনিটটি ব্যবহার হয়নি। ভিভিপ্যাট মেশিন মক পোলের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। ওটি খারাপ ছিল। নির্বাচনী আধিকারিকদের বলা ছিল, যে সব মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলিকে পুলিশি নিরাপত্তায় আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা করতে। আর যে সব মেশিন ব্যবহার করা হয়নি, সেগুলিকে তিরুভানমাইয়ূরে একটি স্কুলের স্ট্রং রুমে রাখতে। কিন্তু ওই দুই আধিকারিক ঠিক মতো পদ্ধতি না মেনেই এই কাজ করেছে যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল।