হরিয়ানায় ভোটের ফলাফল নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তারা নির্বাচনের এই ফলাফলকে অপ্রত্যাশিত বলে দাবি করেছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোট গণনার সময় ইভিএমে ব্যাপকভাবে কারচুপি হয়েছে। সেই কারণে এমন ফল। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস। এবার আরও বেশ কয়েকটি অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে জমা দিল কংগ্রেস। তাতে ইভিএমে অসঙ্গতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রায় ২০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গতবারই বিজেপির হারার কথা ছিল, কিন্তু... এবার হরিয়ানা নিয়ে কনফিডেন্ট কংগ্রেস নেতা
কংগ্রেস প্রার্থীদের অভিযোগ, গত ৮ অক্টোবর গণনার সময় বেশ কিছু এবিএমের ব্যাটারি ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ ছিল, যা অসম্ভব। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানান, ‘হরিয়ানায় ২০টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুতর এবং স্পষ্ট অনিয়ম তুলে ধরে একটি আপডেট মেমো আমার জমা দিয়েছি। আমরা আশা করি যে নির্বাচন কমিশন নোটিশ নেবে এবং যথাযথ নির্দেশ জারি করবে।’
তিনি জানান, ‘আমরা এই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছি। সব কেন্দ্রের ইভিএম মেশিন অবিলম্বে সিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’ এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পূর্ণ করার আবেদন করা হয়েছে বলে জানান জয় রাম রমেশ।
কংগ্রেসের কিছু প্রার্থী তাদের লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ইভিএম গণনার সময় ৮০ শতাংশের নিচে চার্জ করা হয়েছিল। কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশ চার্জ ছিল। তাতেই ইভিএমে অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। কারণ কংগ্রেসের দাবি, যেখানে তাদের প্রার্থীরা জিতেছে সেখানে ইভিএম মেশিনে ৮০ শতাংশের নিচে চার্জ ছিল। কংগ্রেস প্রার্থী অমিত সিহাগ বলেছেন, গণনা প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রায় ২৫টি ইভিএমে ব্যাটারি স্তর ছিল ৯৯ শতাংশ । এটি অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং অসম্ভব। কারণ ভোটের দিন জুড়ে মেশিনগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে এত শতাংশ চার্জ থাকা সম্ভব নয়। তাই এই মেশিনগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেসে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যাটারি ব্যাকআপ দেখানো ইভিএমগুলিতে বিজেপির অনেক কম ভোট ছিল।
নারনউল, কারনাল, ডাবওয়ালি, রেওয়ারি, হোদাল (এসসি), কালকা, পানিপথ সিটি, ইন্দ্রি, বাদখাল, ফরিদাবাদ এনআইটি, নালওয়া, রানিয়া, পতৌদি (এসসি), পালওয়াল, বল্লভগড়ের বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।