আগরতলায় প্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যাও। এদিকে সেই প্রচারে এসে মঙ্গলবার গতবছরের একটি ঘটনার কথা তুলে ধরেন নেত্রী। মমতা বলেন, অভিষেককে ভাগ্যিস বুলেট প্রুফ গাড়ি দিয়েছিল। না হলে বেঁচে ফিরত না। জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন এই ত্রিপুরাতেই অভিষেক, সুস্মিতা দেব সহ তৃণমূল নেতৃত্বের উপর হামলা চালিয়েছিল। এদিন দুপুরে আগরতলা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মমতা। তবে ত্রিপুরাতেও মমতা ম্যাজিক দেখা গিয়েছে এদিনও।এদিন পদযাত্রায় ভিড় ছিল যথেষ্টই।
বাংলার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন নেত্রী। সেই ধরনের উন্নয়ন ত্রিপুরার মাটিতে করা হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলায় যে উন্নয়ন করেছি তার অনেকটা ভাগই ত্রিপুরাবাসী পাবে। তিনি বলেন, বাংলা থেকে ত্রিপুরার দূরত্ব বেশি নয়। বাংলা আর ত্রিপুরা দুই ভাইবোন।
এদিকে বিজেপি নেতৃত্ব বারবারই ডবল ইঞ্জিন সরকারকে বজায় রাখার ব্যাপারে আবেদন করছেন। তবে এবার তার পাল্টা দিলেন মমতা। তিনি বলেন, বিজেপি সংবিধান, ইতিহাস সব ভুলিয়ে দিয়েছে। দেখা যাক ২০২৪ সালে কী হয়! তৃণমূলই ডবল ইঞ্জিন সরকারকে হঠাবে।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, ঘাসকে কখনও শেষ করা যায় না। এখন আমরা বড় বৃক্ষ হয়ে গিয়েছি।এখন আর আমাদের শেষ করা যাবে না।
এদিকে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার একাধিক ক্ষেত্রে মিলের কথা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর মতে, ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলার কথাবার্তা, খাওয়া দাওয়া, বেশভূষায় প্রচুর মিল রয়েছে।
মমতা জানিয়েছেন, বাংলার পড়ুয়াদের জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সহ নানা সুবিধা রয়েছে। ত্রিপুরার পড়ুয়ারা সেই সুবিধা পান না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, দুয়ারে রেশন, দুয়ারে সরকার সহ একাধিক প্রকল্পের কথা ভোটের আগেই জানানো হয়েছিল। ভোট মিটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতির কথা ভোলেনি তৃণমূল। সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা।
পাশাপাশি বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন তিনি। বাংলায় কীভাবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের মাধ্যমে বাসিন্দারা স্বাস্থ্য পরিষেবা পান সেকথাও তুলে ধরেন তিনি। ভোটের আগে যে প্রতিশ্রুতি তৃণমূল দেয় সেটা ভোটের পরেও তৃণমূল পালন করে বলে জানিয়েছেন নেত্রী।
এদিকে অভিষেক বলেন, মার্চ মাস থেকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে, আর দুয়ারে গুন্ডা নয়, দুয়ারে সরকার চাই। বিজেপির ডবল ইঞ্জিন মানে তো একদিকে ইডি আর অপরদিকে সিবিআই।