লোকসভা ভোটের বাকি আর কয়েকটা মাস। তবে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতার কোনও সমাধান সূত্র এখনও বেরিয়ে আসেনি। কংগ্রেস কিংবা তৃণমূল কেউই কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে চাইছে না বাংলায়। এই সবের মাঝেই মঙ্গলবার আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসকে কড়া বার্তা দেন মমতা। পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের নেত্রীর নির্দেশ, ৪২টি আসনে লড়াইয়ের জন্যই প্রস্তুত থাকুন। এই সবের মাঝে মঙ্গলবারই আবার রাহুল গান্ধীর গলায় শোনা গেল 'মমতা বন্দনা'। রাহুল গান্ধী দাবি করেন, মমতার সঙ্গে তিনি বেশ ঘনিষ্ঠ। এমনকী নিজের পদযাত্রাতেও মমতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। তবে এই সবের মাঝেই ফের তাল কাটল অধীরের আক্রমণে। আসন সমঝোতা নিয়ে মমতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে 'সুবিধাবাদী' আখ্যা দিয়ে আক্রমণ শানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। (আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর নামে FIR, গুয়াহাটিতে পুলিশ-কংগ্রেস সংঘর্ষে কড়া পক্ষেপ হিমন্তের)
এর আগে সোমবার মমতা অভিযোগ করেছিলেন, ইন্ডিয়া জোটে নাকি বামেরা খবরদারি চালাচ্ছে। আর গতকাল মমতা দাবি করেন, কংগ্রেস বাংলায় ১০ থেকে ১২টি আসন চাইছেন। আর তিনি কংগ্রেসকে ছাড়তে চান তাঁদের জেতা দু'টি আসন। এই আবহে গতকাল অধীর বলেন, 'আদতে বিজেপির সঙ্গে ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে বাংলার রাজনীতিতে বিজেপি বনাম মমতা করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকেও লাভ পাওয়াতে চাইছেন এবং নিজেও লাভ পেতে চাইছেন। এর আগে ২০১৯-২০২১ সালে একই ঘটনা ঘটে। মমতার মনে হয়েছে এখন কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়া বোকামি। সিপিএম একটা বাহানা। যেদিন মমতা দেখলেন সিপিএম মাতব্বরি করছে সেদিন কেন প্রতিবাদ করে বেরিয়ে আসেননি।' মমতাকে সুবিধাবাদী বলে তোপ দাগেন অধীর। অধীরের কথায়, 'মমতা দু'মুখী অবস্থান নিয়ে চলছেন। হাওয়া বুঝে অবস্থান পরিবর্তন করবেন তিনি।'
এদিকে গতকাল অসমের কামরূপে রাহুল গান্ধী আবার বলেন, আমাদের আসন সমঝোতার ব্যাপারটি চলছে। এর ফলাফল শীঘ্রই সামনে আসবে। এই ব্যাপারে এখানে কিছু বলব না। তবে মমতাজির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে ও পার্টির খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কখনও আমাদের কেউ কিছু বলে দেন, কখনও ওদের কেউ কিছু বলে দেন। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। আসন বোঝাপড়ায় এসব বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলায় আসবে রাহুলের ন্য়ায় যাত্রা। কোচবিহার হয়ে প্রবেশ করবে রাহুলের বাস। এই আবহে রাহুল মমতাকেও তাঁর যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান।