পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার লখনউতে সমাজবাদী পার্টি সভাপতি অখিলেশ যাদবের সাথে যৌথ অনুষ্ঠান করবেন। তার আগে সোমবারই উত্তরপ্রদেশের রাজধানীতে গিয়ে পৌঁছান তৃণমূল সুপ্রিমো। আর উত্তরপ্রদেশে পা রেখেই রণহুঙ্কার মমতার। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তিনি উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির জয় এবং বিজেপির হারের লক্ষ্যে এসেছেন। এদিন মমতা লখনউ পৌঁছতেই তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে তলে গিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ। পরে একান্তে কথাও হয় দুই নেতার। লখনউতে মমতার আগমনের ভিডিয়ো টুইট করা হয় সমাজবাদী পার্টির অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে।
সোমবার সন্ধ্যায় লখনউ বিমানবন্দরে পৌঁছে অখিলেশ যাদবের উপস্থিতিতে মমতা বলেন, ‘আমি এখানে সমাজবাদী পার্টির জয়, বিজেপির হারের জন্য এসেছি।’ জবাবে মমতাকে ‘প্রতিশ্রুতি’ দেন অখিলেশও। তিনি বলেন, ‘দিদি, আপনি এসেছেন, আমরা জিতে গিয়েছি। আমরা একসঙ্গে বাংলায় (বিজেপি) পরাজিত করেছি। এখন উত্তরপ্রদেশেও (বিজেপি) হারাব। এটা দিদির কাছে আমার প্রতিশ্রুতি, আমরা আবার বিজয়ী হব।’ মমতা জবাবে বলেন, ‘আমি আবার আসব। ৩ তারিখ এসে বারাণসীতে একসঙ্গে প্রচার করব।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের পক্ষে প্রচার করতে অখিলেশ যাদব সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন ও দলের জাতীয় সহ-সভাপতি কিরণময় নন্দকে পাঠিয়েছিলেন। আর এবার ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধিতার সুর চড়াতে অখিলেশের পাশে দাঁড়াতে চলেছেন মমতা নিজে। এর আগে জানুয়ারিতে কিরণময় নন্দ নিজে কালীঘাটে মমতার বাসভবনে এসে নির্বাচনী প্রচারে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে গিয়েছিলেন। এর আগে ২০১৭ সালেও অখিলেশের হয়ে প্রচার করেছিলেন মমতা।
লখনউ রওনা হওয়ার আগে কলকাতায় মমতার বলেছিলেন, ‘আমি লখনউতে সমাজবাদী পার্টির পক্ষে প্রচার করতে যাচ্ছি। অখিলেশজি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি চাই উত্তরপ্রদেশে অখিলেশজি এবং সমাজবাদী পার্টি জিতুক এবং ভারতীয় জনতা পার্টি হারুক। এটাই আগামীর পথ দেখাবে। সকলের উচিত অখিলেশজিকে তাঁর লড়াইয়ে সমর্থন করা। তৃণমূল কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের কোনও আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না কিন্তু তাও, আমি সেখানে নৈতিক সমর্থন দিতে যাচ্ছি।’ মমতা আরও বলেছিলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ লড়াই হলে ভালো হতো। যখন লাভের কিছুই নেই, তখন কেন অন্যের ভোটব্যাঙ্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন? আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু (কংগ্রেস) কর্ণপাত করেনি।’