স্মৃতি কাক রামচন্দ্রন
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে হিন্দুস্তান টাইমস। নানা প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দিলেন তিনি।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন গুজরাটের বাসিন্দারা আগের মতোই বিজেপির পক্ষে রায় দেবেন?
অমিত শাহ: আমরা মানুষের প্রত্যাশাটা বুঝতে পেরেছি। আমরা প্রত্যাশা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটি উন্নয়ন মডেলের সূচনা করা হয়েছিল। আমাদের সেই মডেল সর্বস্পর্শী। শিক্ষা, সেচ, পরিকাঠামো, শহর ও গ্রামীণ উন্নয়ন, তফশিলি জাতি ও উপজাতি, ওবিসি সকলের উন্নতিতে কাজ করা হয়েছে। সমাজের সকলে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে বিজেপিকে সমর্থন করেন। সেকারণেই এত বছর ধরে আমরা মানুষের আস্থা পেয়েছি।
২০০২ সালের ১২৭টি আসন জেতার রেকর্ড কি এবার ভাঙবে?
অমিত শাহ: নিশ্চিতভাবে আমরা বেশি আসন পাব। তবে কত আসন হবে তা নিয়ে মন্তব্য করাটা ঠিক নয়। তবে বিজেপি এবার তার আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবথেকে বেশি মার্জিনে জয়ী হবে বিজেপি।
প্রশ্ন: এবছর কংগ্রেসকে সেভাবে ভোটের ময়দানে দেখা যাচ্ছে না…
অমিত শাহ: এখানে বিরোধী বলতে কংগ্রেস। তবে শুধু গুজরাটে নয়, গোটা দেশে একটি নড়বড়ে পরিস্থিতির মধ্যে ওরা যাচ্ছেন। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে আর সেই ছবিটা এবার দেখা যাবে গুজরাটে…
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন কংগ্রেস নতুন শক্তিকে(আপ) জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে?
অমিত শাহ: গুজরাটের মাটিতে আপের কোনও ভিত্তি নেই। ওই দলের প্রতি গুজরাটের মানুষের কোনও আগ্রহও নেই।
প্রশ্ন: একটি গোটা প্রজন্ম বিজেপি ছাড়া আর কাউকে দেখেননি। এবার কি মনে হচ্ছে পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেবেন নতুন যুব সমাজ?
অমিত শাহ: যুব সমাজের কাছে পরিবর্তনের কোনও স্পৃহা নেই। কারণ তাদের প্রতিনিধিই রয়েছে এবারের ভোটে। বিজেপি যুব সমাজের চাহিদা পূরণের সব রকম চেষ্টা করছে। গুজরাটে স্টার্ট আপ, ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্প তৈরি হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম, সিপিং, টেকনোলজি সবক্ষেত্রে পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
প্রশ্ন: বিরোধীরা বলছেন গুজরাটে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর নির্ভরশীল। রাজ্যের নেতাদের সেভাবে অস্তিত্ব নেই…
অমিত শাহ: প্রধানমন্ত্রী ও আমি দুজনেই এই রাজ্যেরই।যে রাজ্যেই নির্বাচন হোক না কেন বিজেপির সব নেতারাই যান। প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা।
প্রশ্ন: ইস্তেহারে উল্লেখ করেছেন, আপনারা জঙ্গিবিরোধী সেল তৈরি করবেন…
অমিত শাহ: এটা করলে ক্ষতি কোথায়? যদি কোথাও থেকে ভালো কিছু শুরু হয় তবে তাকে স্বাগত জানানো দরকার। শুধু গুজরাটে নয়, গোটা দেশে জঙ্গিবাদ অনেকটাই কমেছে। গুজরাটে এই ইস্যু উঠেছে। গোটা দেশে এটা থাকা দরকার।
প্রশ্ন: রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার কোনও রাজনৈতিক সুফল মিলবে?
অমিত শাহ: যদি কেউ কঠিন পরিশ্রম করেন তবে আমার মনে হয় এটা ভালো।কিন্তু রাজনীতিতে শুধু ধারাবাহিক প্রচেষ্টাই কাজে আসে। দেখা যাক কী হয়…
প্রশ্ন: বিরোধীরা বলেন আপনারা এজেন্সিকে অপব্যবহার করেন…
অমিত শাহ: দেশে নিরপেক্ষ আইনি ব্যবস্থা রয়েছে। এরকম মনে হলে তাঁরা কোর্টে চলে যেতে পারেন।