২০২২ সালে দেশের ৫ রাজ্যে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের শেষ লগ্ন আসন্ন। ৭ মার্চ রয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের শেষ পর্বের ভোটগ্রহণ। তারপরই ১০ মার্চের জন্য কাউন্টডাউন শুরু হবে। উল্লেখ্য, ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। আর তার আগে কার্যত আত্মবিশ্বাসের সুর ধরা পড়েছে বিজেপির হেভিওয়েট অমিত শাহের কণ্ঠে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বুকে বিজেপির জয়ের স্বপ্নের কারিগর ছিলেন অমিত শাহ। তিনি ছিলেন তখন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর স্ট্র্যাটেজিতে ভরসা করে উত্তরপ্রদেশ দখলে রাখে বিজেপি। যা পরবর্তী লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরে আলাদা মাইলেজ যোগ করে। এরপর ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে ভোট। আর ভোট নিয়ে ফের একবার আত্মবিশ্বাসের সুর অমিত শাহের কণ্ঠে। অমিত শাহ বলেন, 'আমরা উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে সরকার গড়ব। আমাদের ভালো পারফরম্যান্স হবে পঞ্জাবে।' উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুরে ইতিমধ্যেই রয়েছে বিজেপির সরকার। সেখানে ফের একবার মসনদ দখলের কথা এদিন বলেন অমিত শাহ। অন্যদিকে, পঞ্জাবে রয়েছে কংগ্রেসের সরকার। উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনের জেরে মূলত পঞ্জাবের রাজনীতিতে ব্যাকফুটে চলে যায় বিজেপি। সেই জায়গা থেকে অমিত শাহ দাবি করছেন, পঞ্জাবের ভোটেও বিজেপির ফলাফল ভালো হবে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহ বলেন, মোদীর জনপ্রিয়তা ৫ রাজ্যের ভোটে আলাদা করে সুবিধা দিয়েছে বিজেপিকে। তিনি বলেন, বুথ লেভেল থেকে প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত সর্বস্তরে প্রতিটি বিজেপি কর্মী খেটেছেন এই ভোটের জন্য।
প্রসঙ্গত, এর আগে উত্তরপ্রদেশের এক ভোট প্রচার সভায় যোগ দিয়ে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন যে, ৪০৩ আসনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে ৩০০ আসন দখলে রাখবে বিজেপি। অন্যদিকে, আজ উত্তরপ্রদেশে প্রচার পারদ চড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, যাঁদের ডিএনএ-তে সেবা দেওয়ার বিষয়ে শ্রদ্ধা রয়েছে, সেই প্রার্থীদেরই যেন ভোট দেওয়া হয়। এদিনের প্রচার পর্বে অমিত শাহ বলেন, ৫ বছর আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তারা উত্তরপ্রদেশ থেকে মাফিয়া রাজ সরিয়ে দেবে। আর সেই সূত্র ধরে অমিত শাহ বলেন, 'আজ আতিক আহমেদ, মুক্তার আনসারি, আজম খানরা জেলে। একজন কি দুইজন হয়তো বেরিয়ে এসেছে। ১০ মার্চ পদ্ম ফুটিয়ে দিন, তারপর ওরা জেলে যাবে।'