দুই রাজ্যে সরকার রয়েছে আম আদমি পার্টির। পাশাপাশি এবার আরও দুই রাজ্যের বিধানসভায় উপস্থিতি রয়েছে আম আদমি পার্টির। এই আবহে নিজেদের ‘জাতীয় পার্টি’ বলে দাবি করলেন আপ-এর জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন গুজরাটের ফলাফল প্রকাশ স্পষ্ট হতেই এক ভিডিয়ো বার্তা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই ভিডিয়ো বার্তায় তিনি গুজরাটবাসীকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আম আদমি পার্টিকে ‘জাতীয় দলে’র তকমা মেলায় নিজের খুশি প্রকাশ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
ভিডিয়ো বার্তায় আজ কেজরিওয়াল বলেন, ‘গুজরাটকে বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং আমরা সেই দুর্গ লঙ্ঘন করতে পেরেছি। মাত্র ১০ বছর আগে আমাদের দল গঠিত হয়েছিল এখন এরই মধ্যে দুই রাজ্যে সরকার গঠন করেছে। এবং আজ, এটি একটি জাতীয় দল হয়ে গিয়েছে। এটি একটি বিস্ময়কর অর্জন।’ উল্লেখ্য, গুজরাটে আম আদমি পার্টির পায়ের নীচে জমি শক্ত করার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত কয়েক মাসে ৬৫টি জনসভা করেছিলেন গুজরাটে।
সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে শেষ পর্যন্ত ঝুলিতে এসেছে মাত্র পাঁচটি আসন। তবে তাতেই খুশি আম আদমি পার্টি। কারণ এই পাঁচ আসনের দৌলতেই এবার জাতীয় পার্টির তকমা পেতে চলেছে কেজরির আম আদমি পার্টি। গুজরাটে কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়ে অনেক ভোট পেলেও সেই অর্থে আসন পায়নি আম আদমি পার্টি। তবে তাতে তাদের মাথা ব্যথা নেই।
১৮২ আসন বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় ৫টি আসনে জিতেছে কেরজির আপ। এর আগে গুজরাটে দুটি আসনে জিতেছিল আম আদমি পার্টি। তাছাড়া দিল্লি এবং গুজরাটে সরকারে রয়েছে আম আদমি পার্টি। নিয়ম অনুযায়ী, চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পেলে এবং বিধানসভায় উপস্থিতি থাকলে জাতীয় পার্টির তকমা পাওয়া যায়। এদিকে গুজরাটে প্রায় ১৩ শতাংশ বা ৪০ লাখ ভোট পেয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও গুজরাটে আম আদমি পার্টির রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থীর জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবে গুজরাটে আম আদমি পার্টির উদয় সেই রাজ্যের রাজনৈতির মানচিত্রকে পুরোপুরি বদলে দিতে চলেছে।