ঘোড়া কেনাবেচা রুখতে এবার অসমের অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) ১৮ জন প্রার্থীকে এবার রাজস্থানের হোটেলে পাঠানো হল। রাজনৈতিক মহলে অবশ্য এমনই বক্তব্য ঘোরাফেরা করছে। অসমে তিন দফায় ভোটগ্রহণ শেষ। আগামী ২ মে ভোট গণনা। তার আগে প্রার্থীদের রাজ্যে রেখে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না এআইইউডিএফ নেতৃত্ব। তবে প্রার্থীদের সকলকে রাজস্থানে পাঠিয়ে দেওয়ার পিছনে কারণ খোলসা করেনি এআইইউডিএফ। সরকারিভাবে অবশ্য জানানো হয়েছে, প্রার্থীরা রাজস্থানের আজমেঢ় দরগায় ঘুরতে গিয়েছেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেসের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘গতকাল রাতে দলের হাইকমান্ডের তরফে একটি ফোন আসে। তাতে বলা হয়, অসম থেকে কয়েকটি প্রার্থী জয়পুরে আসবেন।তাঁদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে। এমন একটা জায়গায় ব্যবস্থা করতে বলা হয়, যেখানে বিরোধী দলের নেতারা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে।’ শুক্রবার এআইইউডিএফের ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনকে গুয়াহাটি থেকে জয়পুরে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে, যে হোটেলে ওই প্রার্থীদের রাখা হয়েছে, সেই হোটেলে আগে কংগ্রেসের বিধায়ক রাখা হয়েছিল যখন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট দলের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। জানা গিয়েছে, ওই হোটেলটি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠ একজনের। ওই হোটেলের মালিকের বিভিন্ন জায়গায় ইডি আধিকারিকরা হানা দিয়েছিল।
প্রার্থীদের সঙ্গে আসা এআইইউডিএফ সচিব মহম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিজেপি নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। তাঁরা আমাদের প্রার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। দীর্ঘ নির্বাচনী পর্বের পর প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আজমেঢ় দরগায় এসেছি। তবে আসার পিছনে আরও একটি কারণও আছে।’ কতদিন তাঁরা এই জয়পুরে থাকবেন, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।আমিনুল বলেন, ‘বিজেপি তাদের রাজ্যে আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। তাই নানা ধরনের নোংরা খেলায় মেতেছে। গোয়া, মণিপুরে কী হয়েছে, আমরা দেখেছি। তাই আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। এআইইউডিএফের পাশে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতা তথা নাজিরা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবব্রত সাইকিয়া বলেন, এআইইউডিইউ কী করেছে, জানি।আমাদের দলের তরফেও এই একই কাজ করা হবে কিনা, বলতে পারছি না। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরতে পারছে না। তাই এখন বিজেপি চেষ্টা করছে ঘোড়া কেনাবেচা করার।উল্লেখ্য, গত বিধানসভা ভোটে এআইইউডিএফ ১৩টি আসনে জিতেছিল। বাংলাদেশ থেকে মুসলিমদের উপর এদের যথেষ্ট রয়েছে। ফলে এবারের ভোটে বদরুদ্দিন আজমলের দল যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’