নিজেদের সংসার ছেড়ে পেশার তাগিদে অসমে এসেছিলেন তাঁরা। এসেছিলেন নির্বাচনের ডিউটি করতে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের দুর্ব্যবহারে তাঁরা এখন বাড়ি ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। হ্যাঁ, তাঁরা পেশায় হোমগার্ড। অসমের কাছাড় জেলার বারাক উপত্যকায় নির্বাচনের কাজে এসেছিলেন তাঁরা। এবার এখান থেকে নিজ রাজ্যে ফেরার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রায় ১৫০০ হোমগার্ড। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এমনকী ভারী লাগেজ নিয়ে ৫ কিমি হাঁটতে জোর করা হয়েছে। শিলচর পৌঁছতে কোনও গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা শিলচর রেল স্টেশনে বসে রয়েছেন। এই রক্ষীদের ১০০ জন ইতিমধ্যেই গুয়াহাটির ট্রেনে উঠে গিয়েছেন। বাকিরাও ফিরবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এই হোমগার্ডদের অভিযোগ, গাড়ি চাওয়া হলেও মঙ্গলবার তাদের জোর করে ৫ কিলোমিটার হাঁটানো হয়েছে স্টেশন থেকে। কাছাড় একটি বড় জেলা। এখানে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১০,৮৬,০৯০। আর ১৮৩৪টি পোলিং স্টেশন। এমনকী তাঁদের অভিযোগ, তিনদিনের ডিউটির জন্য তাঁদেরকে ৫১০০ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন নাকি মাত্র ৯০০ টাকা করে দিয়েছে। ৯০০ টাকায় তিনদিন কীভাবে কাটাব আমরা? বলে তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা কোনও মাসিক বেতন পান না বলেও জানিয়েছেন। আর তাঁদের জন্য খাবার, জল এবং থাকার ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি।
অভিযোগকারী হোমগার্ডদের বক্তব্য, ‘তাঁরা পুলিশ সুপার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও পারেননি। যোগাযোগ করতে চাইলেও কোনও উত্তর অপরপ্রান্ত থেকে মেলেনি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার ব্যবস্থা করেছে। সেখানে খাবার জল পর্যন্ত নেই। তাই আমরা সিদ্দান্ত নিয়েছি ফিরে যাবো এবং শিলচর রেলস্টেশনের দিকে রওনা হয়েছি।’ স্থানীয় পুলিশ এবং সিআরপিএফকে ইতিমধ্যেই ভোটের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পুলিশ সুপার ভানওয়ার লাল মীনা নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করতে আরও ৬৯ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠান নির্বাচন কমিশনের কাছে।