বৃহস্পতিবার অসমে বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা শেষ হল। এদিন ৩৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে গেল। তবে গড় ভোট পড়ল ৭৭.২১ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামান্য কিছু বাড়তে পারে সবকিছুর শেষে। বারাক উপত্যকায় বিচ্ছিন্ন কিছু হিংসার ঘটনা ছাড়া ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণই ছিল। ইভিএম মেশিনে কিছু গণ্ডগোল হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক করে দেওয়া হয়। ১৩টি জেলার ৩৯টি আসনে ভোটযুদ্ধ হয়। এই দফায় পাঁচ মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার–সহ একাধিক হেভিওয়েটের ভাগ্যপরীক্ষা ছিল।
জানা গিয়েছে, কাছার জেলার সোনাই এলাকায় বিজেপি বনাম এআইইউডিএফ সংঘর্ষে তিনজনের গুলি লেগেছে। বিজেপি প্রার্থী আমিনুল হক লস্কর এদিন এআইইউডিএফ–এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরই তপ্ত হয়ে ওঠে নির্বাচনী বাতাবরণ। রাজ্যের উন্নয়নে স্বার্থে রেকর্ড নম্বরে ভোট দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। সমীক্ষা বলছে জোরদার লড়াই মূলত শাসকদল বিজেপি এবং কংগ্রেস–এআইইউডিএফ জোটের মধ্যে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ এবং এনআরসি ইস্যুই হাতিয়ার কংগ্রেসের। অন্যদিকে সর্বানন্দ সোনেওয়ালের ইমেজ ও জনকল্যাণমুখী কাজই বিজেপির পুঁজি।
এদিন অসমের কোকরাঝাড়ে নির্বাচনী সভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি ডবল ইঞ্জিন সরকারের জেরে রাজ্যের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। অসমের মানুষ কংগ্রেস এবং তাদের সহযোগী জোটকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে বলে দাবি তাঁর। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব ভোট দেওয়ার পর জানান, তাঁর দলই নির্বাচনে জয়ী হবে। এই পরিস্থিতিতে হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে নোটিস ধরিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, অসম নির্বাচনের প্রথম দফাতেই ডিব্রুগড়ে ভোট দেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে কেবল মিডিয়াতেই দেখা যায়। বিজেপি ও জোটসঙ্গীরাই মাঠে–ঘাটে কাজ করেন। রাজ্যে ফের বিজেপি সরকার গঠনই আমার লক্ষ্য।’