মোটের উপর নির্বিঘ্নেই মিটল অসমের তৃতীয় তথা শেষ দফার ভোট। কয়েকটি জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিললেও বড়সড় হিংসার ঘটনার সাক্ষী থাকতে হল না অসমকে। প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশের উপর। সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার ১২ টি জেলার ৪০ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। গোলকগঞ্জের দিগালতরি নিম্ন-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে কোনও সমস্যার কারণে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুটি গোষ্ঠী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শূন্যে এক রাউন্ড গুলিও ছোড়া হয়। নির্বাচন আধিকারিকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, দু'জন পুলিশকর্মীকে হেনস্থা করা হয়। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়। বিলাসীপাড়া পশ্চিম কেন্দ্রের গুপ্তিগাড়ার একটি বুথে বিনামূল্যে মাস্ক বিলি নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালানো হয়। বুথ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। এখানে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। দু'জায়গাতেই কিছুক্ষণের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। বঙ্গাইগাঁওতেও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। সেখানে বড় জমায়েত হয়ে গিয়েছিল। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালানো হয়। এছাড়া কয়েকটি বুথে ইভিএমে বিগড়ে যাওয়ার খবর মিলেছে।
তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের মধ্যেই বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট - উভয়ই জয়ের ঘোষণা করে দিয়েছে। জানিয়েছে, পরবর্তী সরকার গঠন করবে তারা। মঙ্গলবার নিজের জালুকবাড়ি কেন্দ্রে ভোটদানের পর বিদায়ী মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘তৃতীয় দফায় আমরা ২২ টি আসনে জিতব। প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় আমরা যথাক্রমে ৪০ এবং ২৫ টি আসনে জিতব। গতবারের থেকেও বেশি আসন জিতব আমরা (২০১৬ সালে ৬০ টি আসন জিতেছিল বিজেপি) এবং (এবার) ৯০ টি আসনে পৌঁছে যাব।’ একইরকমভাবে আশাবাদী প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি রিপন বোরা। তিনি বলেন, ‘মানুষের বার্তা স্পষ্ট। কংগ্রেস এবং আমাদের জোটসঙ্গীরা সহজেই জিতবে। আমরা অসমে সরকার গঠন করতে তৈরি এবং আমাদের পাঁচটি প্রতিশ্রুতি কার্যকর করা হবে।’