শেষ হাসি হাসলেন বিজেপির 'ঘরের মেয়ে' অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোল দক্ষিণে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে ১৮০০ ভোটে পরাজিত করলেন তিনি। ভোট গননার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন অগ্নিমিত্রা। বাংলায় বিজেপির হার হলেও, ‘বিজেপি গড়’ আসানসোলে জয়ের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল।
হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষ থকে যোগাযোগ করা হলে জানালেন, ‘খুব ভালো লাগছে। এটা আমার প্রথম বিধায়িকা হওয়া। তবে আমার দল জিতলে আনন্দটা হয়তো আরও দ্বিগুণ হতো।’ মানুষের জন্য কাজ করবেন বারবার বলেছেন। জানালেন এখনও সেটাই ইচ্ছে। ফোনে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাব। আমার কেন্দ্রের সমস্যার কথা তাঁর কাছে তুলে ধরব। উনি ২০১১ সালের জয়ের পর বলেছিলেন বিরোধীদের নিয়েই একজোট হয়ে কাজ করতে চান। আশা করি সেই কথা উনি এবারেও রাখবেন।’
২০১৯ সালের গোড়ার দিকে অগ্নিমিত্রা বিজেপিতে যোগ দেন। রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তিনি। আসানসোলের এক উচ্চশিক্ষিত পরিবারে জন্ম তাঁর। বাবা-মা ছিলেন চিকিৎসক-শিক্ষাবিদ। আসানসোলের লোরেটো কনভেন্টে পড়াশোনাও করেছেন। সেই হিসেবে সত্যিই ঘরের মেয়ে অগ্নিমিত্রা।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম থেকেই নজরে ছিল আসানসোল দক্ষিণ। দুই হেভিওয়েট তারকা প্রার্থীর মধ্যে কে জেতে, তা নিয়ে ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বিরোধী পক্ষ হওয়ায় প্রচারের একচুল জায়গাও কেউ কারো জন্য ছাড়েনি। বরং, তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ যখন বিজেপি-কে বাইরের দল বলে উল্লেখ করছিল, তখন অগ্নিমিত্রা জানিয়েছিলেন, ‘সায়নী বাইরে থেকে এসেছে। আমিই আসানসোলের ঘরের মেয়ে’।
যদিও আজ ফলাফলের দিন সায়নীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি অগ্নিমিত্রা। হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, ‘দু'জনেই একই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করি। ভবিষ্যতে সুযোগ এলে আবশ্যই একসঙ্গে কাজ করব।’