যত বেলা হচ্ছে, তত অসমের চিত্রনাট্য আরও স্পষ্ট হচ্ছে। রবিবার সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র জমা দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল। তার ফলে হিমন্ত বিশ্বশর্মার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
শনিবার রাতেই বোঝা গিয়েছিল, রবিবার বিধায়কদের বৈঠক নেহাত নিয়মরক্ষার হতে চলেছে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ জানতে পেরেছিল, শনিবার রাতের দিকে অসমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হিমন্তকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। সোমবার অসমের দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। পরে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালকে দিল্লিতে আনা হতে পারে। এমনিতেই এখন অসম থেকে একটি রাজ্যসভার আসন ফাঁকা আছে।
তারইমধ্যে রবিবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ অসমে সোনোওয়ালের বাসভবনে পৌঁছান বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) বি এল সন্তোষ। মিনিট ২০ পরে সেখানে আসেন হিমন্ত। তারপরই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দেন সোনোওয়াল। সেই সময় সোনোওয়ালের বাসভবনেই ছিলেন হিমন্ত-সহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তারপর বৈঠকের জন্য বিধানসভায় পৌঁছান বিধায়করা। সূত্রের খবর, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হিমন্তের নাম চূড়ান্তভাবে ঘোষণা হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হিমন্তের নাম প্রস্তাব করবেন সোনোওয়াল। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানাবেন অসমের রাজ্য বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস। তবে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিমন্ত ঘনিষ্ঠরা ঘোষণা করে দিয়েছেন যে অসমের মসনদে বসতে চলেছেন বিদায়ী বিজেপি সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যিনি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হয়ে উঠেছেন।