অসমে ক্ষমতায় ফিরলে কংগ্রেস ৫টি প্রতিশ্রুতির কথা বলেছে। তার পাল্টা এবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সহ ১০টি প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে দিল বিজেপি। তবে ফের ক্ষমতায় এলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ প্রয়োগ করা হবে কিনা, সেবিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই ভিশন ডকুমেন্টে।
সিএএ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা জানান, সিএএ সংসদে পাশ হয়ে গেছে। সিএএ–ও বাস্তবায়িত হবে।সংসদে পাশ হয়ে যাওয়া আইন কীভাবে রাজ্য বিধানসভায় পরিবর্তন হয়। হয় কংগ্রেস নেতা বিষয়টি জানে না নয়তো রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল ও অন্যান্য বিজেপি নেতার উপস্থিতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ভিশন ডকুমেন্ট পেশ করেন। ভিশন ডকুমেন্টের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে নড্ডা বলেন, ‘বন্যা হল অসমের প্রথম সমস্যা। এই বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘মিশন ব্রহ্মপুত্র’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে নদীর তলদেশ থেকে পলিস্তর তুলে ও নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বড় রিজারভার তৈরি করে প্লাবিত জলকে ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’ একইসঙ্গে বিজেপি সভাপতি জানান, ক্ষমতায় এলে অসমে ৩০ লাখ পরিবারকে অরুণোদয় প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এখন ১৭ লাখ পরিবার এই প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তা আরো বাড়ানো হবে।এক্ষেত্রে মাসিক ভাতাও ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
নড্ডা এই প্রসঙ্গে আরো জানিয়েছেন, অসমের সভ্যতা ও সংস্কৃতি যাতে অটুট থাকে, সেজন্য অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণের কাজ কিন্তু জারি থাকবে।এর ফলে কারা সত্যিকারের নাগরিক আর কারা অনুপ্রবেশকারী তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। দ্রুত যাতে এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়, অসমবাসী যাতে নিজেদের অধিকার সুরক্ষিত করতে পারে, সেই প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে।
পাশাপাশি সরকারি কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে ২ লাখ সরকারি পদে কর্ম সংস্থান করা হবে। এর মধ্যে প্রথম ১ লাখ কর্ম সংস্থান ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে হয়ে যাবে।’ পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রে আরো ৮ লাখ কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া রাজ্যের যুবকরাও যাতে নিজেদের পায়ে নিজেরা দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য স্বামী বিবেকানন্দ যুব স্বনির্ভর যোজনার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। এর মাধ্যমে ১ লাখ ৫০ হাজার যুবককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও যাদের জমি নেই, তাদের পাট্টা দেওয়ার কথাও তুলে ধরা হয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে।বলা হয়েছে, বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে প্রায় ৩ লাখ জমিহারা পরিবারকে পাট্টা দেবে।বিজেপি সভাপতি জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে অসমে অনেক সমস্যাই ছিল। কিন্তু বিজেপি সরকার এসে উন্নয়নের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করতে সচেষ্ট হয়েছে।