নন্দীগ্রামে ভোটের পুনর্গণনার দাবিতে কমিশনকে চিঠি পাঠাল তৃণমূল। গণনায় কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। কমিশনের উদ্দেশে দলের তরফে লেখা ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভোটগণনা চলতে চলতে সেটা যে মাঝখানে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তা সঠিক সময় কমিশনের তরফ থেকে আমাদের জানানো হয়নি। সেজন্য ‘আমরা মনে করছি, এই ফাঁকেই ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। এমনকী ভুয়ো ও বাতিল ভোটও বিজেপির হয়ে গোনা হয়েছে।’
তৃণমূল আরও জানিয়েছে যে, কীভাবে জয়ী প্রার্থীর চেয়ে ভোটে এত কম ব্যবধান হতে পারে তার পরের প্রার্থীর। সেখানেই সন্দেহের অন্যতম কারণ বলে মনে করছে তাঁরা।
এছাড়াও তৃণমূলের অভিযোগ, ব্যালটে ভোট গণনার ক্ষেত্রেও জালিয়াতি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পোস্টাল ব্যালটেও ভুল গোনা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রার্থী মমতা বন্দোপাধ্যায় যখন নন্দীগ্রামের গণনাকেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারকে পুনর্গণনার জন্য অনুরোধ করেন, তখন তিনি কোনও অজ্ঞাত কারণে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। যা অত্যন্ত ‘নিন্দনীয়’ বিষয়। সেক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি এই ভোটগণনা যাতে আবার করা হয়, সেই বিষয় কমিশনকে উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
রবিবার নন্দীগ্রামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে মমতা এবং বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর। প্রথম কয়েক রাউন্ডে শুভেন্দু অনেকটা এগিয়ে গেলেও ক্রমশ ব্যবধান কমিয়ে ফেলতে থাকেন মমতা। একটা সময় কিছুটা এগিয়েও যান। কিন্তু শেষের দিকে আবার লড়াইয়ে ফিরে আসেন শুভেন্দু। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ১৬ রাউন্ডের গণনার শেষে শুভেন্দুর থেকে ৮২০ ভোটে এগিয়েছিলেন মমতা। হাড্ডাহাড্ডি শেষ রাউন্ড শুরু পর সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের তরফে জানানো হয়, ১,২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। যদিও কিছুক্ষণ পর বিজেপি দাবি, মমতা নয়, নন্দীগ্রামে জিতেছেন শুভেন্দু। তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।