পুরসভা ভোটে বারবার নির্দল কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। তবে সেই চ্যালেঞ্জ ঠেকিয়া ভালো ফল করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে এবার বিধানসভা উপনির্বাচনেও নির্দল কাঁটার মুখে তৃণমূল। উল্লেখ্য, গতকালই মমচা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ‘প্রথম একাদশে খলতে’ চেয়ে ফুল বদল করা বাবুলকে অবশ্য পছন্দ হয়নি রাজ্য ইমাম সংগঠনের প্রধান মহম্মদ ইয়াহিয়ার। তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন যে বাবুলকে তৃণমূল প্রার্থী করলে তিনি নিজে সেই কেন্দ্র থেকে নির্দল হয়ে প্রার্থী হবেন।
পশ্চিমবঙ্গ ইমাম সংগঠনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় বরাবরই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অংশ। আসানসোলের ইমামের ছেলে সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহত হয়েছিলেন। সেই সময় বাবুল সুপ্রিয় স্থানীয় সাংসদ ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসকে উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে বের করতে হবে। না হলে আমি সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’ প্রসঙ্গত, আসানসোলের একটি মসজিদের ইমাম ইমদাদুল রশিদি তাঁর ছেলেকে হারিয়েছিলেন ২০১৮ সালে। সেবছর রাম নবমী উদযাপনের সময় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সময় নিহত হয়েছিল তাঁর ১৬ বছর বয়সী ছেলে। এরপর বাবুল সুপ্রিয় ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য এই আসনে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন।
দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে থেকেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এরপর গতবছর মন্ত্রিসভায় রদবদলের সময় বাবুলকে মন্ত্রীপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপরই বাবুল রাজনীতি থেকে ‘সন্ন্যাস’ গ্রহণের কথা বলেছিলেন। পরে অবশ্য তিনি দলবদল করেন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন ছিল যে বাবুলকে রাজ্যের মন্ত্রী করা হতে পারে। তবে প্রথম একাদশে খেলার আগে গোয়ায় ‘ওয়ার্ম-আপে’ পাঠানো হয়েছিল বাবুলকে। এদিকে কয়েকদিন আগে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হওয়ায় বালিগঞ্জ আসনটি খালি হয়েছে। সেই আসন থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাবুল। আর তাঁর ছেড়ে আসা আসানসোল লোকসভা আসন থেকে এবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন আরও এক প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।