আসানসোলে ভোটের আগের থেকেই বারবার বহিরাগত জমায়েতের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর সাত সকালে ভোট শুরু হতেই বুথ এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করানোরও অভিযোগও উঠল আসানসোলে। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে ৭৮,৭৯,৮৩,৮৪ ও ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক বুথে পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তোলেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
অভিযোগ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেখানে বিজেপি প্রার্থীকে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তখন সেখানে যান প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আর তারপরই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। এদিকে আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বাড়ি, গাড়ি ঘিরে রাখার অভিযোগ ওঠে খোদ পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে আসানসোলের ৮৮,৮৯ নং ওয়ার্ডে বিজেপির এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে আসানসোলের ১ নম্বর ওয়ার্ডেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘এক লোহা কারবারি বিভিন্ন ভোটারদের এসে বিরক্ত করছেন। এখানে তৃণমূলকে খুশি করতে ঝামেলা লাগানোর চেষ্টা চলছে। আমি এই অভিযোগ পাচ্ছিলাম। আমি তখন এখানে এলে কথা কাটাকাটি হয়। শহরজুড়ে বহিরাগতরা জাঁকিয়ে বসে। পুলিশ তাদের সঙ্গেই আছে। আমরা কী করব!’ এদিকে আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত রানিগঞ্জের ত্রিবেণীদেবী ভালোটিয়া কলেজে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ বলে অভিযোগ। ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টার পরও সেখানে ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি।