ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের সমর্থনে প্রচারে আসেন খেসারিলাল যাদব। আর তা নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। আসানসোলের 'প্রাক্তন' বিজেপি প্রার্থী পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে বাঙালি নারী-বিদ্বেষের যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই অভিযোগই উঠেছে খেসারিলালের বিরুদ্ধে। তিন বছর আগের 'বাঙ্গালিনিয়া' নামে একটি ভিডিয়ো নিয়ে এক নেটিজেন বলেছেন, 'ব্যারাকপুরে প্রচারের জন্য এখন ভোজপুরি শিল্পী খেসারিলাল যাদবকে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পবন সিং এবং খেসারিলাল যাদবের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের লজ্জা হওয়া উচিত।' যদিও ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, পবনের সঙ্গে খেসারিলালের তুলনা করার কোনও মানে হয় না। পবনের গানে বাঙালি নারীবিদ্বেষী লাইন ছিল। খেসারির ক্ষেত্রে সেরকম আছে বলে শোনা যায়নি। আর তিনি একজন শিল্পীর জায়গা থেকে পার্থের সমর্থনে প্রচারে এসেছিলেন বলে দাবি করেছে ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতা শমিত ঘোষ বলেছেন, ‘পবন সিংয়ের বিরুদ্ধে আমাদের একেবারে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তাঁর গানে বাঙালি নারীবিদ্বেষী লাইন ছিল। খেসারিলাল যাদবের ক্ষেত্রে কি সেটা আছে?’ সেইসঙ্গে তিনি যোগ জানিয়েছেন, ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী একজন শিল্পী। তিনি থিয়েটারকর্মী। একজন শিল্পীর জয়ের জন্য অপর একজন শিল্পী প্রচারে এসেছিলেন। খেসারিলাল আগেও নৈহাটিতে এসে অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন।
ব্যারাকপুরে কেন খেসারিলালকে প্রচারে এনেছিল তৃণমূল?
এমনিতে সোমবার পঞ্চম দফায় ব্যারাকপুরে ভোটগ্রহণ হবে। যে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচুর অবাঙালি ভোটার আছেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সেই অবাঙালি ভোটারদের মন পেতেই প্রচারে ভোজপুরি গায়ক খেসারিলালকে নামায় তৃণমূল। প্রচারে যথেষ্ট সাড়াও পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভোটের সাতকাহন- ‘অর্জুন সুবিধা করতে পারবে না,ভোট মেশিনারি আমরাও বুঝি’-পার্থ ভোমিক
যদিও ব্যারাকপুরের তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বাঙালি-অবাঙালি ভোটব্যাঙ্কের কোনও বিষয় নেই। শিল্প-সংস্কৃতির কোনও ভাষা হয় না। শিল্পী পার্থের পাশে থাকতে প্রচারে আসেন খেসারিলাল। শমিত জানিয়েছেন, ব্যারাকপুরে গুন্ডারাজে ইতি টানতে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষরা তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। কবীর সুমন, নচিকেতা, ভরত কল, নীল-তৃণারা প্রচার করে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা খেসারিলাল আসায় অহেতুক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন, তাঁদের বলব যে কবীর সুমন, সুপ্রিয় দত্তদের বার্তা শুনুন।’