বিধানগর নির্বাচনে ‘ক্লিন সুইপ’ তৃণমূলের। তবে ভোটে জিতেও স্বস্তি নেই বিধাননগরের প্রাক্তন দুই পুর প্রধানের। বিধাননগরে জিতেছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী ও সব্যসাচী চক্রবর্তী দুই জনেই। এই আবহে মেয়র কে হবেন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরঘুর করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। আর এই আবহে কৃষ্ণা চক্রবর্তী বললেন, ‘মমতাদি ছাড়া কারোর উপর ভরসা নেই।’ ভোটে জিতে গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘কে মেয়র হল সেটা বড় কথা নয়। দলের কর্মী থাকতে পারলাম কিনা বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হৃদয় জয় করতে পারলাম কিনা সেটাই বড় কথা।’ কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, ওয়ার্ডে যে যে কাজ হওয়া প্রয়োজন, যেমন জল, আলো, রাস্তা, আবর্জনা, সব কাজই হয়েছে আগামী দিনেও হবে
এরপর সব্যসাচী চক্রবর্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সেখানে যান কৃষ্ণা চক্রবর্তী। মমতার সাথে দেখা করে এসে কৃষ্ণা বলেন, ‘আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চেয়ার পেয়ে বসে থাকলে চলবে না, পারফরম্যান্স দিতে হবে, কাজ করতে হবে, যে কাজ করতে পারবেন না তাঁর চেয়ারে বসার কোনও অধিকার নেই।’ উল্লেখ্য, এদিন সব্যসাচী মমতার পাশাপাশি মমতার পাশাপাশি অভিষেকের সঙ্গেও দেখা করেন। এই আবহে কৃষ্ণার মন্তব্য, ‘শুধু দিদির উপর ভরসা’ । যা নিয়েও জল্পনার অন্ত নেই। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই দলের অন্দরে আইপ্যাক নিয়ে অস্বস্তি আছে। যার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিষেক।
এদিকে সব্যসাচী-মমতা সাক্রাত প্রসঙ্গে কৃষ্ণা বলেন, ‘আমি প্রতিবারই ভোটে জিতে দিদির সাথে দেখা করতে আসি। দিদির সাথে দেখা করতে যে কেউ আসতে পারেন, মমতাদি বটবৃক্ষ। যাঁর যন আশ্রয় লাগে, তখন তিনি আসেন দিদির কাছে।’ সব্যসাচীর স্ত্রীকে মমতার সাড়ি উপহার প্রসঙ্গেও কতকটা কটাক্ষের সুরে কৃষ্ণাদেবী বলেন, ‘এরম তো আমাদের প্রায় প্রতিদিনই উপহার দেন দিদি।’