বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > পুরভোটের লড়াই > ফেস্টুন–ফ্লেক্স–ব্যানার–দেওয়াল লিখন নেই, বিধাননগর পুরসভা নির্বাচন তুঙ্গে

ফেস্টুন–ফ্লেক্স–ব্যানার–দেওয়াল লিখন নেই, বিধাননগর পুরসভা নির্বাচন তুঙ্গে

বিধাননগর পুরসভা ভবন। ফাইল ছবি

এই সব্যসাচী দত্ত একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আর গত বছরের ৭ অক্টোবর বিজেপি ছেড়ে ফিরে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

আজ, বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন। এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিতে চায় বিজেপি। এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এখানে সুজিত বসু বনাম সব্যসাচী দত্ত গোষ্ঠীর লড়াই রয়েছে। এই নির্বাচনের আগে প্রচার তুঙ্গে উঠলেও এখন তেমন তাপ–উত্তাপ দেখা যাচ্ছে না। এলাকা জুড়ে ফেস্টুন–ফ্লেক্স–ব্যানার–দেওয়াল লিখন দেখা যাচ্ছে না। তাই শাসক–বিরোধী কতটা আত্মবিশ্বাসী তা নিয়ে চলছে তরজা।

এই সব্যসাচী দত্ত একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আর গত বছরের ৭ অক্টোবর বিজেপি ছেড়ে ফিরে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে। সুতরাং এখানে এখন হাইভোল্টেজ নির্বাচন হতে চলেছে। একইসঙ্গে এটা তারকা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আগে এই পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেসই। সব্যসাচী দত্ত যখন পদ্মফুলে গিয়েছিলেন তখনও এই পুরসভার ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল কংগ্রেসই। তাই এটা একপ্রকার শাসকদলের গড় বলা যায়।

এবারের পুরসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‌আমার কাজ হবে জেতার পর শংসাপত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে গিয়ে রাখা। আগে জিতলে মাসীমাকে প্রণাম করতে যেতাম। এবার সেটা হবে না। আমায় দিদি কি পদ দেবেন তা তিনিই ঠিক করবেন। আমি এখন থেকে জিতছি এতটুকু বলতে পারি। মানুষ আমাকে ভালবাসে আমার কাজের জন্য।’‌

সব্যসাচী দত্ত বিধাননগর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। এখানে জঞ্জাল থেকে নিকাশি সব ঠিক করাই হবে তাঁর লক্ষ্য বলে তিনি জানিয়েছেন। বিধাননগরে অনেক কাজ হয়েছে বলে তাঁর দাবি। তবু আরও কাজ করতে হবে বলে তিনি জানান। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী বাসব বসাক বলেন, ‘‌এই বছর অশান্তির আশঙ্কা করছি। এখানে বহিরাগতরা ঢুকতে শুরু করেছে। ওয়ার্ডে বহু সমস্যা। কাজ হয়নি অনেক।’‌ এই পুরসভা দখল করতে চায় বিজেপি। ঝাঁপিয়ে পড়েছেন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী–দিলীপ ঘোষ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর পুরসভার নির্বাচন।

বন্ধ করুন