গত লোকসভা নির্বাচনেও কোচবিহার আসনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। পরবর্তীতে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছেন। বিধানসভা ভোটেও কোচবিহারে বড় ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে কুপোকাত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মতো হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাও। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে কোচবিহার শহরে অধিকাংশ আসনেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেক্ষেত্রে এবারের পুরভোট রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কাছে ছিল কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। আর সেখানেও সফল হলেন তিনি।
পুরভোটের লড়াইতে রাজার শহর কোচবিহারে একটি আসনেও জয়ের মুখ দেখল না গেরুয়া শিবির। কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা আসনের মধ্যেই কোচবিহার শহরটি পড়ে। সেখানে বিধানসভা ভোটে জয় পেয়েছিল বিজেপি। আর পুরভোটে একেবারে ধরাশায়ী। কোচবিহার শহরের মানুষ কার্যত প্রত্য়াখান করল বিজেপিকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবার কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যানের আসরে বসতে পারেন প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে কোচবিহার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২,৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী। তাঁদের একাংশ তৃণমূলের কাছ থেকে টিকিট না পেয়েই নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়েছিলেন। তবে ১৩ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থী। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে একটি আসনেও জয়ের মুখ দেখেনি গেরুয়া শিবির। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে চলে যাওয়া ও নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভূষণ সিংও জয় ছিনিয়ে এনেছেন। ভূষণ সিং বলেন, বিজেপির হাত থেকে ওয়ার্ডটি বাঁচিয়েছি। পাশাপাশি বিগতদিনে পুরবোর্ডে ক্ষমতায় থাকা কুন্ডু পরিবারের সদস্যরাও ফের জিতেছেন পুরভোটে।