রাজ্যের ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলের কোনও অস্তিত্ব রইল না। হুঙ্কার থেকে নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেও ফলাফলে গেরুয়া উধাও দেখা গেল। এখানেই শেষ নয়, কাঁথি, বালুরঘাট থেকে মেদিনীপুর কোনও গড়ই ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। এমনকী গোটা পুরসভা নির্বাচনে একটি পুরসভা পর্যন্ত নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি। এই পরিস্থিতির নেপথ্য উঠে এলো একাধিক কারণ।
কেন বিজেপির এই দৈন্যদশা হল? রাজ্য–রাজনীতিতে এই প্রশ্নের প্রথম কারণটিই হল, দলীয় কোন্দল এবং তার জেরে পুরসভা নির্বাচনে কর্মীদের কাজে ঢিলেমি। দ্বিতীয়, একুশের নির্বাচনে হারের থেকে কোনও শিক্ষা নিল না বিজেপি। উলটে সংগঠন ক্ষয় হতে হতে তা তলানিতে গিয়ে পৌঁছল। ফলে পুরসভা নির্বাচনে এই ভাঙা সংগঠন কাজে আসেনি।
তৃতীয়, তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারে বারবার তুলে ধরেছিল বিজেপির ১৮টি সাংসদের কথা। বাংলা থেকে ১৮জন সাংসদ হলেও এই রাজ্যের ক’জন ছেলে–মেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি পেয়েছে? এমন প্রশ্নই তুলে ধরা হয়েছে। বিজেপি নেতারা মানুষের সামনে এই প্রশ্নের জবাব তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। চার, পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মানুষের জন্য কোন কোন কাজ তারা করবে তা তুলে ধরতে পারেনি। তাই মানুষও সেভাবে বিশ্বাস করতে পারেনি।
উত্তরবঙ্গে বিজেপির ধরাশায়ী ছবি ফুটে উঠে্ছে। পঞ্চম কারণ, সেখানে আগে বিজেপি সাফল্য পেলেও মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি বিজেপি নেতারা। একুশের নির্বাচন, উপনির্বাচন, কলকাতা পুরসভার নির্বাচন এবং চার পুরসভার নির্বাচনে নিজেদের সাফল্য তুলে ধরতে পারেনি বিজেপি। সেই ছবি দেখে আর ভোট নষ্ট করতে চায়নি মানুষজন। সবমিলিয়ে বিরাট ধস নেমেছে বিজেপির এই পুরসভা নির্বাচনে।