‘বিদ্রোহী’ মতুয়াদের বাগে আনার চেষ্টা বঙ্গ বিজেপির। আর এবার তাই বনগাঁ পুরভোটের টিকিট পেলেন শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দেবদাস মণ্ডল। বিদ্রোহীদের পিকনিকে বরাবর দেখা গিয়েছে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাসকে। আর টিকিট পেয়েই দেবদাস জানিয়ে দিলেন যে দলে কোনও বিদ্রোহ নেই। তিনি আরও দাবি করেন যে এই বিদ্রোহের কাহিনী সংবাদমাধ্যমেরই তৈরি করা।
সোমবার বনগাঁ পুরসভায় বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন বনগাঁ পুরসভা নির্বাচনের কোঅর্ডিনেটর তথা বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্ত্তনীয়া। উল্লেখ্য, অশোক কীর্ত্তনীয়া নিজেও বেশ কয়েকদিন দিন ধরে ‘বিদ্রোহ’ করে বসেছিলেন। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে যখন বনগাঁ পুরভোট নিয়ে বিজেপির বৈঠক ডাকা হয়েছিল, সেই বৈঠকে যাননি অশোক। তবে এহেন কীর্ত্তনীয়াই এদিন পুরসভা নির্বাচনের জন্য বনগাঁ পুরসভার ২২ টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।
এদিকে টিকিট পেয়ে দেবদাস এদিন বলেন, ‘বনগাঁর মানুষ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। তাঁরা ভীত সন্ত্রস্ত। ২২ টি ওয়ার্ডের মানুষ এই পুরসভা বিজেপির হাতে তুলে দেবে। আমি ভারতীয় জনতা পার্টির অনুগামী, আমি মোদীজির অনুগামী, আমি সংগঠনের অনুগামী। শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গেও আমার ভালো সম্পর্ক। তিনি আমাদের বনগাঁর সাংসদ। তিনি একজন মন্ত্রী।’
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে বিজেপির অন্দরে বাজছিল বিদ্রোহের সুর। সেই সুর বেঁধে গান তৈরির কাজে নেমেছিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। মতুয়া সম্প্রদায়ের এই নেতার অভিযোগ ছিল, বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব নেই সেই অর্থে। এরপরই তিনি রীতেশ তিওয়ারি এবং জয়প্রকাশ মজুমদারদের মতো হেভিওয়েট ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বহু পিকনিকেরও আয়োজন করা হয়েছিল এই সময়। এই পিকিনিকগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে দেখা গিয়েছে শান্তনু ঘনিষ্ঠ দেবদাসকে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে যখন কল্যাণীতে বিদ্রোহীদের জন্য চড়ুইভাতির আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেও ছিলেন দেবদাস। আর আজ প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পরই দলের অনুগত সৈনিক হিসেবে তুলে ধরলেন শান্তনু ঘনিষ্ঠ এই নেতা।