অধিকারীদের গড় বলে পরিচিত কাঁথি। আর এখানেই জোর ধাক্কা খেল বিজেপি। এখানে সব থেকে বেশি প্রচার করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখানেই তাঁর বাসভবন শান্তিকুঞ্জ। আর এখানেই শুরুটা বিজেপির পক্ষে ভাল হল না। কাঁথির অধিকারীগড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রিনা দাসের কাছে হেরে গেলেন বিজেপির প্রার্থী তথা কাঁথি উত্তরের বিজেপি বিধায়ক সুমিতা সিং। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরেছেন ৭৭ ভোটে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার বেশ কয়েকটি দখলে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চার দশক পর কাঁথিতে পালাবদল ঘটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর ‘গড়’ বলে পরিচিত কাঁথি শহরে যদি তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভা দখল করে নেয় তাহলে শুভেন্দুর জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে দলের অন্দরেই।
এখন যা ফলাফল দাঁড়িয়েছে তাতে কোচবিহার পুরসভায় বোর্ড গড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস, ডালখোলা পুরসভার দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস, কাঁথিতে মোট ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে ১৯টি ওয়ার্ডে, অন্যান্যরা এগিয়ে একটি ওয়ার্ডে। বিজেপি জিততে পেরেছে একটি ওয়ার্ড। জলপাইগুড়িতেও বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মেমারিতে পুরসভা দখলের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে সকাল থেকে ঘাসফুল ঝড় রাজ্যে।
এই কাঁথিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বারবার এসেছিলেন প্রচার করতে। শুভেন্দুর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী শুভেন্দুর প্রার্থীদের ‘দেখতে’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে কাঁথি পুরসভার ভোট নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন শুভেন্দুর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী। তবে আদালত সেই মামলায় ভোটগণনা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়নি। আর বুধবার ভোটগণনা শুরু হতেই কাঁথিতে হাঁড়ির হাল দেখা দিয়েছে বিজেপির। পরাজিত হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক।