রাজ্যজুড়ে ১০৮টি পুরসভা নির্বাচন চললেও বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এবার জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে পারলেন না। তবে সেটা কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে নয়। সেটা দল এবং সংসারে ভাঙনের জন্য। তাই সকাল থেকে তাঁর মেজাজ সপ্তমে চড়ে রয়েছে। ভাটপাড়ায় আজ ইভিএম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে। তাও আবার বিজেপির এজেন্টের বিরুদ্ধে।
এই পরিস্থিতিতে অর্জুন সিং বলেন, ‘যেভাবে ভোটগ্রহণ চলছে তাতে গণতন্ত্র নয় মমতাতন্ত্র চলছে।’ তিনি তিন দশক ধরে জনপ্রতিনিধি। এই এলাকায় তিনি নিজে ভোট করান বলেই কথিত আছে। আবার তিনি নিজে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেখানে তিনিই ভোট দিতে পারলেন না। নিজের ওয়ার্ডেই ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি সাংসদ।
কেন ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি সাংসদ? ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার অর্জুন সিং। সেখানে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছিল সৌরভ সিংকে। যিনি সম্পর্কে অর্জুন সিংয়ের ভাইপো। কিন্তু নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘটে অর্জুনের সাজানো সংসাকে সিঁধ কাটে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক–পার্থ ঘোষরা। ফলে বিজেপির মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন সৌরভ সিং এবং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ফলে ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির কোনও প্রার্থী নেই। তাই ভোট দিতে পারলেন না দাপুটে নেতা অর্জুন।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? ভোট দিতে না পারা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্জুন সিং বলেন, ‘জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে পারলাম না। খুব খারাপ লাগছে। কিছু গদ্দারের জন্য ভোট দিতে পারলাম না। প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গদ্দারি করে পালিয়ে গেল।’ অর্জুন সিংয়ের গড়ে এমন ভাঙন মোট তিনটি। তাতে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল।
এখানে ভোট কেমন হচ্ছে? জবাবে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করেন, ‘সকাল থেকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। মানুষ উত্তর দিয়ে দেবে। যেভাবে ভোটগ্রহণ চলছে তাতে গণতন্ত্র নয় মমতাতন্ত্র চলছে। ২০২৪ সালে এর ফল বুঝতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস। মানুষ যখন নিজের ভোট দিতে পারবে না, তার রিয়্যাকশন হবেই। গদ্দার আগেও ছিল। আগামীদিনেও থাকবে।’