রাত পোহালেই ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন। সেখানে তুঙ্গে উঠেছিল শাসক–বিরোধীর প্রচার। তাহলে কেমন হবে এই পর্বের পুরসভা নির্বাচন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তবে বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ মনে করছেন, এবার বিজেপি ভাল ফল করবে। সব জায়গায় গিয়ে তাঁরা প্রচার করতে পেরেছেন। তাই আশাবাদী তাঁরা।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? শনিবার সকালে ইকোপার্কের প্রাতঃভ্রমণের পরে সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘একটা হতাশাজনক পরিস্থিতিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। শেষের দিকে সাধারণ মানুষের উৎসাহ বেড়েছে। বিরোধী পার্টির কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছিল। বিশেষ করে বিজেপির কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছিল। সেখানে সংগঠিতভাবে নির্বাচন লড়ছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দেওয়া হচ্ছে।’
এরপরই তিনি আনিস খানের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। আজ, শনিবার ভোরে সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। কারণ অনুমতি না নিয়ে দেহ সমাধি থেকে তুলতে গিয়েছিলেন। এটাকে চুরি করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন নিহত আনিস খানের বাবা সালেম খান। এই নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি বলেন, ‘সিটের ওপরে কারও ভরসা নেই। প্রশাসন জানে এটা চালাকি হচ্ছে। এদের ইচ্ছাই নেই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার।’
এরপরই মেদিনীপুরের সাংসদ দাবি করেন, পুলিশ নিজেই অপরাধী। পুলিশের সর্বোচ্চ পদাধিকারি অপরাধী। কেন পুলিশ সুপারকে সরানো হয়নি। কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল বুথ রক্ষা করার জন্য। সেই রিপোর্ট রাজ্য সরকারের মতো করে দেওয়া হয়নি বলে সেই পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দিয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছে। হাওড়ার পুলিশ সুপারকে কেন সরানো হয়নি? কেন তার বিরুদ্ধে এনকোয়ারী করা হয়নি?