বিজেপির অন্দরে কোন্দল চরমে। এখনও অনেক পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি রাজ্য বিজেপির নেতারা। আর বিধাননগর পুরসভা নির্বাচন বাকি আর দু’দিন। সেখানে বিধাননগর পুরসভায় দলের ইস্তেহারই প্রকাশ করতে পারল না বিজেপি। এই ঘটনা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেন এখনও দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ হল না? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে পুরসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ করতে না পারা বিজেপির পক্ষে একটি ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে কী বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাফাই, ‘কী পরিস্থিতি হয়েছে, এখনও সঠিক জানি না। খোঁজ নিয়েই বলতে পারি। আমরা অনলাইনেও ইস্তেহার প্রকাশ করতে পারি।’ রাজ্য সভাপতির এমন মন্তব্যে দলের কর্মী–সমর্থকরা কার্যত হতাশ। কারণ এখন নির্বাচনের শেষলগ্ন। অথচ মানুষের সামনে তুলে ধরা যাচ্ছে না বিজেপি কি করতে চায়। তাদের ভাবনা কি–সহ নানা বিষয়।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি চার পুরসভা বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়ির নির্বাচন। এখানে শুভেন্দু অধিকারী এসে প্রচার করেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষও এখানে এসে প্রচার করেছেন। সেখানে ইস্তেহার নেই। এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ বিধাননগর পুরসভায় মোট ৪১টি ওয়ার্ড। তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র—রাজারহাট–গোপালপুর, রাজারহাট–নিউটাউন এবং বিধাননগর। এমন একটা পুরসভার ক্ষেত্রে কোনও ইস্তেহার নেই!
সূত্রের খবর, পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। সাংসদ অর্জুন সিং বা বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষরা বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকলেও এই এলাকাগুলি কিছুই চেনেন না। আর যাঁরা বিধাননগর এলাকার বাসিন্দা—শমীক ভট্টাচার্য, সায়ন্তন বসুদের ইস্তাহার তৈরির কোনও দায়িত্বই দেওয়া হয়নি। এটা একটা সাংগঠনিক দুর্বলতা বলে মনে করা হচ্ছে। এখানের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। আর বিজেপির প্রার্থী দেবাশিস জানা। যিনি একসময় সব্যসাচীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।