দলের কার্যালয় থেকেই ফোন যাচ্ছে ওয়ার্ডের বাসিন্দার কাছে। এরপরই প্রার্থীর বিবরণ দিয়ে তাঁকে জেতানোর আর্জি। এভাবেই ফোনের মাধ্যমে প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছেন চন্দননগরের ২নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মোহিত নন্দী। আসলে করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। সেকারণে ফোনে ফোনে ভোটারের সঙ্গে যোগাযোগ। দলের ৬জন মহিলা কর্মীকে একেবারে পালা করে বসানো হচ্ছে কার্যালয়ে। তাঁরাই ফোন করছেন ভোটারের কাছে। একেবারে টেলিকলারের সেট আপ। তবে ভয়েস রেকর্ডিং না পাঠিয়ে সরাসরি কথা বলা হচ্ছে ভোটারের সঙ্গে। দলের একাংশের মতে, এতে যান্ত্রিক ব্যাপারটা থাকে না। আরও আন্তরিক হওয়া যায় ভোটারের কাছে।
তবে এবার পরিস্থতি বিগড়ে যেতে পারে এটা আঁচ করেই আগাম সব ফোন নম্বর জোগাড় করে রেখেছিল তৃণমূল। সেই ফোন নম্বর দেখেই সকাল থেকে শুরু হচ্ছে ফোনাফুনি। একেবারে আন্তরিকভাবে ভোটারের মন ভেজানোর চেষ্টা। কে কেমন আছেন সেসব কথাও চলছে ফোনে। কীভাবে তৃণমূল প্রার্থী সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ সেকথা তুলে ধরা হচ্ছে।
প্রার্থী জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভোট করতে হচ্ছে। এনিয়ে সরকারও চিন্তিত। নির্বাচন কমিশনও চিন্তিত। কেউ যেন বলতে না পারে প্রার্থী চার পাঁচজনকে নিয়ে ওয়ার্ডে ঘোরার জেরে করোনা ছড়িয়েছে। এর আগে বাড়ি বাড়ি প্রচার হয়েছে। আমি সাইকেল চালিয়েই প্রচার করেছি। আর এরপরই বাড়ি বাড়ি না গিয়ে ফোনেই যোগাযোগ করা হচ্ছে প্রায় হাজার দুয়েক গৃহকর্তার সঙ্গে।