রাত পোহালেই চার পুরনিগমে নির্বাচন হবে। বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি। তার মধ্যে বিধাননগর নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। কারণ এই পুরনিগমের নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে কিনা তা কলকাতা হাইকোর্টে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সুতরাং এই পুরনিগম একপ্রকার চর্চা কেন্দ্রবিন্দুতে। এখানে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
কোন কোন ওয়ার্ড নজরকাড়া? এখানে পা রাখলেই শোনা যাবে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে আলোচনা। কারণ এখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। যিনি বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আবার ফিরেছেন। তারপরই পেয়েছেন টিকিট। ইতিমধ্যেই তাঁকে আজ, শুক্রবার ফোন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব্যসাচীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন দেবাশিস জানা। তিনি আবার একসময় সব্যসাচীর ঘনিষ্ঠ। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মিতালি মুখোপাধ্যায়।
এখানেই শেষ নয়, আরও দুটি ওয়ার্ড এখান চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। একটি হল—৭ নম্বর ওয়ার্ড। যেখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন দেবরাজ চক্রবর্তী। এই দেবরাজ তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী। যাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন সঞ্জয় দাস। আর দ্বিতীয়টি হল—৩০ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন অনিতা মণ্ডল। যাঁর বাবা ছিলেন মনোরঞ্জন ভক্ত। মনোরঞ্জন ভক্ত একসময় আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সাংসদ ছিলেন। কংগ্রেস করতেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, বিধাননগরে নিকাশি আর পানীয় জলের কিছু সমস্যা রয়েছে। ১৯৬০ সালে সল্টলেকের নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল। যার এখন আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। রাজারহাট এলাকার মানুষের মারাত্মক জলকষ্ট রয়েছে। নলকূপের জল খেতে হয়। তাছাড়া আয়রণ মিশ্রিত জল রয়েছে। এই সমস্যাগুলি নিয়ে বিরোধী বিজেপি ঝাঁপাতে চায়। আর এই সমস্যাগুলি এবার মিটবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।