'পুর বোর্ডের মেয়াদ অনেক আগেই ফুরিয়ে গিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে আর কিছুদিন প্রশাসক দিয়ে কাজ চালালে অসুবিধা কিছুই হতো না।' এমনই বক্তব্য জানিয়ে এবার পুর ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানালেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা শুভঙ্কর সরকার।
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে পুরভোট হলে সংক্রমণ আরও বাড়বে। এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই বাম, বিজেপি পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। এবার অন্যান্য বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানাল কংগ্রেস।
এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, 'বড়দিন,বর্ষবরণের উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী ছাড় দিয়েছিলেন। তাই এখন গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে পারছেন না। তবে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এখন পুরভোট বন্ধ রাখাটাই উচিত হবে। '
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বহু প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আবহে পুরভোট হওয়ার কারণে প্রার্থীদের প্রচারের ক্ষেত্রে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, ৪ পুরসভা এলকাতেই একাধিক প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগে ৩ প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই বলেছিলেন, 'কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট প্রচার সম্ভব হচ্ছে না। ভোটারদের বাড়ি গেলে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। তারা লিফ লেট নিতে চাইছেন না। এই পরিস্থিতিতে ভোট করা কিভাবে সম্ভব!' তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী 'করোনা পরিস্থিতিতে সার্কাস চলছে' বলে মন্তব্য করেছিলেন।যদিও শাসকদল তৃণমূল অবশ্য পুরভোটের পক্ষেই। তৃণমূল নেতা শুখেন্দু শেখর রায় তার যুক্তিতে জানিয়েছেন, 'করোনার মধ্যেও উত্তরপ্রদেশের মতো বিশাল রাজ্যে ভোট হচ্ছে। সেখানে এরাজ্যে ভোট হওয়া কেন সম্ভব নয়!'