কোচবিহারের তুফানগঞ্জে মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে রবিবার অবস্থানে বসেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। আর সেখান থেকেই বিজেপির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী প্রসেনজিৎ বসাককে আটক করল পুলিশ। প্রসেনজিৎ বলেন, আমাদের চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। প্রার্থীকে গ্রেফতার করা কোনওভাবে উচিত নয়। তৃণমূলের দলদাস হয়ে পুলিশ কাজ করছে। এদিকে এদিন সকাল থেকেই ঘটনাবহুল তুফানগঞ্জের ভোট। এদিন সকালে আচমকাই অভিযোগ ওঠে বিজেপি প্রার্থী এই প্রসেনজিৎ বসাককেই অপহরণ করা হয়েছে। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। ভোট চলাকালীন কারা বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণ করল তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে। এদিকে পুলিশও বিজেপি প্রার্থীর খোঁজ শুরু করে। পরে আলিপুরদুয়ার জেলার ভাটিবাড়ি এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এদিকে এরপরই এসডিও অফিসের সামনে অবস্থানে বসে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। স্লোগান দিতে থাকেন ক্রমশ। কয়েকজন বিজেপি কর্মীও ওই অবস্থানে শামিল হন। এদিকে সেই অবস্থানস্থল থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই যায় কারা অপরহরণ করেছিল বিজেপি প্রার্থীকে? নাকি ভোট বাজারে শোরগোল ফেলার জন্য অপহরণের নাটক করা হয়েছিল? সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।