বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > পুরভোটের লড়াই > নির্বাচনী প্রচারে উত্তাপ ছড়িয়েছিলেন দিলীপ–শুভেন্দু, ভোটের দিন মাঠে অনুপস্থিত

নির্বাচনী প্রচারে উত্তাপ ছড়িয়েছিলেন দিলীপ–শুভেন্দু, ভোটের দিন মাঠে অনুপস্থিত

শুভেন্দু, দিলীপ।

পুরসভা নির্বাচনের প্রচার–পর্বে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতেই বাড়তি সময় দিয়েছিলেন।

বিজেপির অন্দরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল শীর্ষনেতারা নিজেদের গড় রক্ষা করবেন। পুরসভা নির্বাচন পর্বে সেটা দেখা গেল না। প্রচারে নিজেদের গড়ে উত্তাপ তুঙ্গে তুললেও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে ভোটের দিন পাওয়াও গেল না কাঁথি শহরে। সন্ধ্যের পরে কাঁথি থানায় এসে হম্বিতম্বি করলেন। আর রবিবাসরীয় নির্বাচনে সারাদিন খড়্গপুরের রেল বাংলোতেই থাকলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

পুরসভা নির্বাচনের প্রচার–পর্বে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতেই বাড়তি সময় দিয়েছিলেন। আর নির্বাচনের দিন উধাও হয়ে গেলেন অধিকারী বাড়ির মেজোছেলে। তবে শুভেন্দু কয়েকটি টুইট করে অস্তিস্ব জানান দিয়েছিলেন। এই বিষয়টি আজ সোমবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে চর্চায় উঠে এসেছে। অধিকারী বাড়ির ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী অবশ্য ঘুরে বেরিয়েছেন। আর বারবারই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন।

শান্তিকুঞ্জের অভিভাবক শিশির অধিকারী ভোট দিয়ে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হন। আসলে তিনি পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। তাই গ্রাউন্ড রিয়েলিটি বুঝে গিয়েছেন যে, গড় ধরে রাখা যাবে না। আর ভোট শেষে কাঁথি থানায় এসে শুভেন্দুর বার্তা, ‘কাল কোর্টে যাচ্ছি। তোলামূল পার্টি কাঁথিতে যে কাজ করল, সিপিআইএম–ও করেনি। লোকসভা নির্বাচনে প্রতিশোধ নেব।’‌ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‌ততদিন বাংলায় বিজেপি থাকলে হয়।’‌

আর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য খড়্গপুর শহরেই ছিলেন। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে দিলীপের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়। দিলীপ অবশ্য বলেন, ‘‌পুলিশ মামলা দায়ের করতেই পারে। এখন বোধহয় বেশি ভয় পাচ্ছে।’‌ সারাদিন স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থেকে ফোনে নানা নির্দেশ দিয়েছেন কর্মীদের। কিন্তু তাতেও বিরাট কোনও ফসল যে ঘরে ওঠেনি সেটা টের পেয়েছেন তিনি। তাই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি বেরোলেন না? দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌কর্মীরা যাতে বুক চিতিয়ে প্রতিরোধ করে তাই আমি এখানে ছিলাম।’‌

বন্ধ করুন