৪ পুরনিগমের ভোট মিটেছে। তাতে ব্যাপকভাবে ধরাশায়ী হয়েছে বিরোধীরা। চারটি পুরনিগমেই ঘাসফুল ফুটেছে। ভোটের প্রথম থেকেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুঠের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। এবার পুরভোট নিয়ে তৃণমূলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক দল নয়, ওটা আসলে ডাকাতের দল।’ তাঁর আক্রমণ থেকে বাদ যাননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘ওই ডাকাতের দলের একজন সর্দার রয়েছেন। তিনিই হলেন ডাকাতরাণী।’ পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড় থেকে দলের ৩৩ জন প্রার্থী ও দলের নেতাদের নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন দিলীপ ঘোষ। পদযাত্রার শেষে কার্জনগেটের সামনে একসভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।
আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি বর্ধমান পুরসভার ভোট। পুরভোটে প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নিয়ে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দিলীপ। একইসঙ্গে, এত বছর ধরে উন্নয়ন না করে এখন ভোটের সময় রাস্তা খুঁড়ে তৃণমূল কাজ দেখানোর চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। পাশপাশি, তৃণমূল কংগ্রেসকে আরও নানাভাবে নিশানা করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস দলে একজন ছাড়া বাকি কোনও অন্য কোনও পোস্ট নেই। বাকি যারা আছেন তারা সবাই হলেন ল্যাম্পপোস্ট। সেগুলোয় আলো জ্বলে না।’
রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেউ তোপ দাগতে ছাড়েননি বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘পুরসভাগুলিতে যেভাবে ভোট করানো হচ্ছে তার ফলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। প্রার্থীদের মারধর করা হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।’ এর জন্য সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মনে করেন।