চার পুরনিগমের মধ্যে বিধাননগর, চন্দননগরে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল বামেরা। যদিও এখনও অন্য ২ পুরনিগম আসানসোল ও শিলিগুড়িতে শতাংশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে পেরেছে বিজেপি। তবু প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী ভোট প্রাপ্তির হারের নিরিখে বিরোধী রাজনীতি ফের বামেদের দিকেই ঝুঁকছে।
নির্বাচন কমিশনের থেকে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিধাননগরে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ৭৩.৮২ শতাংশ। বামেদের ভোটের হার ১০.৬৬ শতাংশ। বিজেপির ভোটের হার ৮.৩৫ শতাংশ। কংগ্রেস ভোট পেয়েছে ৩.৪৯ শতাংশ। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে এই বিধাননগরেই বামেরা কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে ছিল না। সেই জায়গায় বিজেপি বিধাননগরে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। প্রায় একই চিত্র ধরা পড়েছে চন্দননগরেও। চন্দননগরে ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টিতে ভোট হয়েছে। সেই ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টিতেই জিতেছে তৃণমূল। একটি আসনে জয়ী হয়েছে বাম প্রার্থী। বামেরা ১টি আসনে জয়লাভ করলেও এই পুরসভার বেশিরভাগ আসনের বামেরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শতাংশের বিচারে ভোট প্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। অর্থাৎ বিরোধী রাজনীতির পরিসরে এই ২ পুরসভায় বিজেপিকে হটিয়ে উঠে এসেছে বামেরা।
অন্যদিকে আসানসোল ও শিলিগুড়িতে অবশ্য বিজেপি কিছুটা হলেও মুখ রক্ষা করতে পেরেছে। আসানসোলে বিজেপি তৃণমূলের ধারেকাছে না থাকলেও ভোট প্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গেরুয়া শিবির। বামেরা সেখানে অবশ্য বিজেপির তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে শিলিগুড়িতে পুরনিগম ভোটে ২৩.৮৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে পুরবোর্ড হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি বামেরা পেয়েছে ১৭.১৯ শতাংশ ভোট।