পশ্চিমবঙ্গের ৪ পৌরনিগমে নির্বাচন আজ। আজ ভোটগ্রহণ হবে শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরে। জানুয়ারি মাসেই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের জেরে নির্বাচন পিছিয়ে গিয়েছিল। এই আবহে আজকে চার পৌরনিগমে টানটান উত্তেজনা। শাসকদল তৃণমূল কিছুটা অ্যাডভান্টেজে থাকলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিতে প্রস্তুত বিজেপিও।
বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের হার
আসানসোল পুরনিগমে ভোটের হার ৭১.৯৮ শতাংশ, বিধাননগরে ভোটের হার ৭১.৩২ শতাংশ, চন্দননগরে ভোটের হার ৭১.০৬ শতাংশ এবং শিলিগুড়িতে ৭৩.০৫ শতাংশ
প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেনবাবুর নামে ভোট
প্রয়াত প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী দ্বিজেনবাবুর নামে ভোট পড়ল পুরভোটে।
চন্দননগরে মারধর বিজেপি প্রার্থীকে
চন্দননগর নির্বাচনে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কিরণ মান্না ও তাঁর স্বামীকে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মারধর করা হয় ২৭ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীকেও।ঘটনায় উত্তেজনা চন্দননগর শহর জুড়ে। ঘটনায় এসডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপস্থিত বিজেপি প্রার্থী কিরন মান্না।
আসানসোলে বুথের সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ
জামুড়িয়ার শ্রীপুর হাইস্কুলের সামনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একের পর এক বেশ কয়েকরাউন্ড গুলি চালায় বলে দাবি সিপিএমের। তৃণমূলের পালটা দাবি, গুলি নয়, বাজি ফাটানোর শব্দ পাওয়া গিয়েছে। সিপিএমের অভিযোগস শনিবার সকাল থেকেই জামুড়িয়ার ১১২ ও ১১৪ নম্বর বুথ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিল তৃণমূল। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন স্থানীয়রা। বেলা বাড়তে বেশ কয়েকটি গাড়িতে করে দুষ্কৃতীদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসেন তৃণমূল প্রার্থী।
ভোট দিতে পারলেন না অগ্নিমিত্রা পাল
ভোট দিতে পারলেন না বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। জানানো হয়, ভোটকর্মীদের কাছে নাকি আপডেটেড তালিকা ছিল না অগ্নিমিত্রার। তাই তিনি এবার ভোট দিতে পারবেন না। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ইমেল পাঠিয়েছেন অগ্নিমিত্রা পাল।
বিধাননগরে পুলিশের সঙ্গে বহিরাগতদের হাতাহাতি
বিধাননগর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড হাতিয়াড়া হাই মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে বহিরাগতদের হাতাহাতি। অভিযোগ, বহিরাগতরা বুথ দখল করে ছাপ্পা করছিল। ভোটাররা প্রতিবাদ করলে পুলিশ পদক্ষেপ করতে গেলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় বহিরাগতদের।
আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কংগ্রেসের
কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দেখা করলেন আধিকারিকদের সঙ্গে। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশে রাজ্য নির্বাচন কমিশন চলছে। অভিযোগ, সকাল থেকে বিরোধীদের নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। পুলিশকে বলেও কিছু কাজ হচ্ছে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলছে তাদের কাছে যে যে অভিযোগগুলো করছে বিরোধীরা তাৎক্ষণিক সেটা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসের অভিযোগ নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। এভাবে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট করা হলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবে। এই হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।
জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বামেদের
সিপিআইএমের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে দুর্গাপুর গান্ধী মোড় সংলগ্ন জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ বামেদের। বাম কর্মীদের অভিযোগ, আসানসোলে ভোট লুট করা হচ্ছে সকাল থেকে। শাসক দলের মদতে চলছে ভোট লুট। এই অভিযোগকে সামনে রেখে বাম কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে অবরোধ যান চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পুলিশের মধ্যস্থতায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
বিধাননগরে ভুয়ো ভোটার ধরলেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানা
বিধাননগর পৌরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটিতে বাথরুম থেকে ভুয়ো ভোটার ধরলেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানা।
'প্রশাসনের উপর যেটুকু ভরসা ছিল, সব শেষ হয়ে গেল'
আসানসোলের হীরাপুর থানায় বিজেপির বিক্ষোভ প্রদর্শন। বুথ দখলের অভিযোগ তুলে এই বিক্ষোভ বিজেপির। বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে-র বক্তব্য, প্রশাসনের উপর যেটুকু ভরসা ছিল, সব শেষ হয়ে গেল। সব জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এসে বুথ দখল করছে। তাছাড়া বাধা দিতে গেলে কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে।
ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ
আসানসোলের দশ নম্বর ওয়ার্ডে ১১৫, ১১৬, ১১৭, ১১৮ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বিরোধীদের। ভোটদাতাদের অভিযোগ, নিজের ভোট নিজে দিতে পারেননি, অন্য কেউ দিয়ে দিয়েছে। যদিও পরে ভোট দিতে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান শাসক দল। তাদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। কিন্তু শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিরোধী দল।
আসানসোলে সিপিএমের বুথক্যাম্প ভাঙচুর
আসানসোলের ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের বুথক্যাম্প ভাঙচুর।অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তারা জানান, প্রায় ষাট থেকে সত্তর জন দুষ্কৃতীরা এসে তাদের বুথ ভাঙচুর করেন।
অসুস্থ রোগীকে নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শিলিগুড়িতে
অসুস্থ রোগীকে নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শিলিগুড়িতে। শনিবার শিলিগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর বুথে ভোট দিয়ে ফিরে যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তৎক্ষণাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসা হয়। বিজেপি প্রার্থী নান্টু পাল অভিযোগ করেন কেন দলীয় অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হবে? এই আবহে প্রিসাইডিং অফিসার তন্ময় ভট্টাচার্য সাথে সাথে সেন্টার অফিসে খবর পাঠান। এদিকে বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এদিকে তৃণমূল প্রার্থী বাসুদেব ঘোষের বক্তব্য, অসুস্থ রোগীর সেবা করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। আমরা রং দেখি না।
পুলিশের গাড়িতে তৃণমূলের স্টিকার আসানসোলে, ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ
নির্বাচনের দিন বুথে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে স্টিকার। আসানসোলের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য সাত সকালে। অভিযোগ, ভোটারদের প্রভাবিত করতে পুলিশকে কাজে লাগাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দেখুন ভিডিয়ো -
চন্দননগরে বচসা তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে
চন্দননগর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বিটি কলেজে ভোটারদের প্রভাবিত করছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ বিজেপি ও সিপিআইএম প্রার্থীর। সেখানে এরপর বচসা হয় তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে।
রানিগঞ্জে ৯৩ নন্বর ওয়ার্ডে বহিরাগতদের জমায়েত
রানিগঞ্জে ৯৩ নন্বর ওয়ার্ডে রানিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে বহিরাগতদের জমায়েতের অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বহিরাগতদের হটিয়ে দেয়। বিরোধীদের অভিযোগ, সমস্ত ওয়ার্ডেই বহিরাগতদের জমায়েত করেছে শাসক দল। বিরোধী ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বুথ দখল করছে তৃণমূল।
অগ্নিমিত্রা পালকে পুলিশের নোটিশ
বিজেপি বিধায়িক অগ্নিমিত্রা পালকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে নিয়ে ঘোরার নোটিশ দিতে এলে তা নিতে অস্বীকার করেন তিনি।
বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ
বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আরবিআই কমিউনিটি হলে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বিজেপির প্রার্থীর।
বিধাননগরের ৫ নং ওয়ার্ডে ভুয়ো ভোটার
বিধাননগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়ো ভোটারকে দিয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটের হার
সকাল ৯টা পর্যন্ত শিলিগুড়িতে ১২.৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাছাড়া চন্দননগরে ১১.৮১%, বিধাননগরে ১৩.৬৪%, আসানসোলে ১৩.৫৭% ভোট পড়েছে সকাল ন'টা পর্যন্ত।
চৈতালি তিওয়ারির গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ
জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ আসানসোলে। ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা গিয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। সেখানে তৃণমূল কর্মীদের তরফে আবার ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। তৃণমূলের অভিযোগ, জিতেন্দ্র তিওয়ারি নাটক করছেন।
‘ভোটের নামে প্রহসন’
এপিজে স্কুলে ভোট দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মী এজেন্ট, প্রার্থীরা আক্রান্ত। পুলিশ পর্যাপ্ত থাকলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ।
ইভিএম খারাপ থাকায় শুরু হয়নি আসানসোলের বুথে
আসানসোল পুরনিগমের রানিগঞ্জের ত্রিবেণীদেবী ভালোটিয়া কলেজে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর বুথে ইভিএম খারাপ থাকায় শুরু হয়নি ভোটগ্রহণ।
ভোট দিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব
শিলিগুড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের ভোট দিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব।
বিধাননগরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ
বিধাননগর পুরনিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সাধনা ঢালির বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে রাতে দু’বার হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে বাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারার পর আজ, শনিবার সকালে ফের হানা দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা।
বুথে দাঁড়ানো পুলিশের গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর স্টিকার
পুলিশের গাড়িতে তৃণমূল প্রার্থীর স্টিকার লাগানো রয়েছে। ভোটের সকালে এমনই অভিযোগ উঠল আসানসোলে। শনিবার ভোট শুরুর কিছু পরেই এই দৃশ্য দেখা যায় আসানসোলের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডে।
আসানসোলে আটক দুই BJP প্রার্থী
পুরভোটের আগেই আসানসোলে বহিরাগতদের নিয়ে জমায়েত করানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক দুই বিজেপি প্রার্থী। আটক হন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শুভাশিস দাস ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিত্ মণ্ডল। এদিকে ভৃগু ঠাকুর নামে বিজেপির অন্য এক প্রার্থীর ছেলেকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিধাননগরে ভুয়ো ভোটার অভিযোগ
বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়ো ভোটার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ জানার। এই ওয়ার্ডেই তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। এদিকে অভিযুক্ত ভোটার পালিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে অশোক ভট্টাচার্য
শিলিগুড়িতে সকাল সকাল নিজের ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছোলেন সিপিআইএম পার্থী অশোক ভট্টাচার্য। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সব জায়গাতেই আমাদের পোলিং এজেন্ট গিয়েছে। সব দলেরই গিয়েছে। কোনও জায়গাতেই গোলমালের কোনও খবর নেই। সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছে।’
লম্বা লাইন বিধাননগরে
সকাল ৭ টা থেকেই বিধাননগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে দত্তাবাদ ভারতী বিদ্যাভবন স্কুলে লম্বা লাইন। মানুষ আগ্রহের সহিত সকাল সকাল ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য হাজির হয়েছেন এখানে। কাজে যাওয়ার আগে ভোটাধইকার প্রয়োগ করতেই সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে বহু মানুষ।
শুরু ভোটগ্রহণ
স্যানিটাইজ করে গ্লাভস পরিয়ে কোভিড বিধি মেনে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। সকাল সকাল কাজে যাওয়ার আগেই অনেকেই ভোট দিয়ে যেতে চাইছেন। ভোটগ্রহণ শুরু হতেই চার পুরনিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সামনে লাইন দেখা গিয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডে ভোট
শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ আজ। এখানে চার লক্ষের বেশি ভোটার। প্রার্থী সংখ্যা প্রায় দুশো।
বিধাননগরের হেভিওয়েট প্রার্থী
বিধাননগরে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই নেতা আবার ফিরেছেন তৃণমূলে। তারপরই পেয়েছেন টিকিট। সব্যসাচীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন দেবাশিস জানা। তিনি আবার একসময় ছিলেন সব্যসাচীর ঘনিষ্ঠ। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মিতালি মুখোপাধ্যায়। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী প্রার্থী হয়েছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন অনিতা মণ্ডল। অনিতার বাবা ছিলেন মনোরঞ্জন ভক্ত। মনোরঞ্জন ভক্ত একসময় আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সাংসদ ছিলেন।
বিধাননগরে ৪১টি ওয়ার্ডে ভোট
বিধাননগর পুরনিগমের ৪১টি ওয়ার্ডে মোট বুথের সংখ্যা রয়েছে ৪৬৮টি। মোট ভোটারের সংখ্যা চার লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৪০ জন।
চন্দননগরের হেভিওয়েট প্রার্থী
৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রাম চক্রবর্তী। টানা পাঁচবারের বিধায়ক তিনি। এদিকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট প্রার্থী ঐকতান দাশগুপ্ত।
চন্দননগরে সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস
চন্দননগরের ৩৩ টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী তৃণমূল, বামফ্রন্ট এবং বিজেপি। কংগ্রেসের লড়াই করছে ১৯ টি ওয়ার্ডে।
চন্দননগরে ভোট ৩২ টি ওয়ার্ডে, স্থগিত ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ
চন্দননগর পুরনিগমে মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৩ টি। তবে শনিবার ৩২ টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের আগেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গোকুল পালের মৃত্যু হওয়ায় সেই ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকবে। ৩২ টি ওয়ার্ডে মোট বুথের সংখ্যা ১৭৯।
একনজরে আসানসোলের হেভিওয়েটরা
আসানসোল পৌরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈলাতি তিওয়ারী আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন বিজেপির টিকিটে। বিদায়ী পুর প্রশাসক অমর নাথ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের টিকিটে লডছেন ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। তাছাড়া ভোটময়দানে দেখা যাবে মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটককে। তিনি তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এদিকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই টিকিট পেয়েছেন অভিজিৎ আচার্য এবং ইন্দ্রানী আচার্য। আচার্য দম্পতি লড়ছেন ১০২ ও ১০৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এদিকে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তাবাসুম আরা তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে এবার নির্দল হিসেবে লড়ছেন।
আসানসোল পৌরনিগমে মোট ১০৬টি ওয়ার্ডে ভোট
আসানসোল পৌরনিগমে মোট ১০৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। ভোটার সংখ্যা ৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৮৮। আজ ভাগ্য নির্ধারণ করা হবে মোট ৪৩১ জন প্রার্থীর। তৃণমূল কংগ্রেস সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। এদিকে বিজেপি প্রার্থী দিতে পেরেছে ১০২টি আসনে। বামফ্রন্ট ১০৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস ৫২টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে। তাছাড়া ৬২ জন নির্দল প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আসানসোল পুরভোটে।