বেশ কয়েকটি পুরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে গিয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বজবজ, দিনহাটা এবং সাঁইথিয়া তার উজ্জ্বল উদাহরণ। এই নিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কারণ এই বার্তা ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যের সর্বত্র। তাতে মানুষের কাছে বিরূপ বার্তা যাবে বিজেপির বিরুদ্ধে। তাতে বাকি পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। এবার ‘বিরোধীহীন’ পুরসভা দখলের ঘটনায় তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক? এদিন তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, ‘যেভাবে শুধুমাত্র বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দিয়ে পুরসভা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস তা সম্পূর্ণ অন্যায়। এই ভোট বাতিল করা হোক। প্রয়োজনে আদালত পর্যন্ত যাওয়া যাবে। এসবের বিচার হওয়া দরকার। এই ঘটনায় স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গে কোনও গণতন্ত্র নেই।’
শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘এখানে কাউকে মনোনয়ন জমা করতে বাধা দেওয়া হনি। বরং, বিজেপিই প্রার্থী দিতে পারেনি।’ দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ অবশ্য বলেছেন, ‘এটা তো শুধু ডিম–ভাত হয়েছে।’ ফলে শাসক–বিরোধী চাপানউতোর তুঙ্গে। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে আগেই ভরাডুবি হয়েছে বিরোধীদের। এবার তাই কয়েকটা পুরসভা দখল করতে মরিয়া বিরোধীরা।
উল্লেখ্য, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বজবজ পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা ১৩টি ওয়ার্ডে কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। যাদু সংখ্যা পার হতেই পুরসভার দখল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিনহাটা পুরসভায় ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটিতে জিতে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী দেয়নি কোনও বিরোধী দল। আর সাঁইথিয়া পুরসভারও দখল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র তিনটিতে বাম প্রার্থীরা মনোনয়ন দিয়েছে। আর বাকি ১৩টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।