পুরভোটের প্রার্থীপদ ঘোষণার দিন থেকে তুমুল অশান্তি তৃণমূলের অন্দরে। প্রার্থীর নাম নিয়ে আপত্তি তুলে দফায় দফায় গন্ডগোল, বিক্ষোভ হয়েছে জেলায় জেলায়। এদিকে মহেশতলা পুরসভায় আবার অন্য ছবি। এদিন ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন। এই পুরসভায় আসন সংখ্যা ৩৫টি। এদিকে দিনের শেষে দেখা যাচ্ছে ৩৫ আসনের পুরসভায় তৃণমূলের তরফে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৩৭জনের। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে বাকি দুটি মনোনয়ন জমা দিলেন কারা?
সূত্রের খবর, মহেশতলা পুরসভার দুটি ৩৪ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের দুজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একই ওয়ার্ডে দুজন কীভাবে প্রতীক পেলেন? চরম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে এনিয়ে। বিদায়ী পুরপ্রধানও দুলাল দাসও এনিয়ে কিছুটা ধন্ধের মধ্যে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমার কাছে দল থেকে তালিকা দেওয়া হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির স্বাক্ষরিত লিস্ট অনুসারে হবে। আমরা সেভাবে জমা করেছিলাম। কিন্তু ৩৪ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে কোথা থেকে প্রতীক পেয়ে জমা দিয়ে দিয়েছে। দল দেখবে গোটা বিষয়টি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে গোটা ঘটনায় বিভ্রান্ত সাধারণ মানুষও। এর সঙ্গেই শাসকদলের অন্দরের দ্বন্দ্বও ফের প্রকাশ্যে।