উত্তরবঙ্গে ঘাসফুলের সামনে নেতিয়ে গেল পদ্মফুল,দার্জিলিঙে বাজিমাত ‘সদ্যোজাত শিশুর
Updated: 02 Mar 2022, 02:28 PM ISTউত্তরবঙ্গে স্রেফ উড়ে গেল বিজেপি।
উত্তরবঙ্গে স্রেফ উড়ে গেল বিজেপি।
মাসদশেক আগেই এই উত্তরবঙ্গকে নিয়ে স্বপ্নে বিভোর ছিল বিজেপি। কিন্তু এক বছর কাটতে না কাটতে সেই উত্তরবঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়ল গেরুয়া শিবির। উত্তরবঙ্গের একটা পুরসভাতেও ফুটল না পদ্মফুল। উলটে দার্জিলিঙে তো শূন্যে নেমে গেল। সেখানে উঠে এল তিন মাসের একটি দল। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে দার্জিলিং পুরসভা দখল করল হামরো পার্টি। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের বাকি জায়গায় সবুজ ঝড় উঠল। শিলিগুড়ি পুরনিগম দখলের পর একটি বাদে বাকি সব পুরসভাও দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
উত্তরবঙ্গের প্রায় সব পুরসভাই দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। দার্জিলিং পুরসভায় জিতেছে হামরো পার্টি। বেলডাঙা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়ে আছে।
কোচবিহারে ফের ক্ষমতায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জেলায় ধুয়ে গেল বিজেপি – বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
তিন মাস আগে জন্ম, দার্জিলিং পাহাড়ে বাজিমাত অজয়ের হামরো পার্টির! রহস্যটা কী? – বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ওয়ার্ডে জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। বালুরঘাট পুরসভাও দখল করেছে তৃণমূল।
খাদে BJP,দার্জিলিং পুরসভা দখল নতুন দল হামরো পার্টির,নয়া সমীকরণ পাহাড়ের অলিন্দে – বিস্তারিত পড়ুন এখানে
দার্জিলিঙে শূন্যে ঠেকল বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস পেল দুটি আসন। অনীত থাপার দল পেল আটটি আসন। হামরো পার্টির দখলে গেল ১৮ টি ওয়ার্ড। বিমল গুরুঙের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা পেল ৮ টি আসন। জিএনএলএফ খাতাই খুলতে পারেনি।
সবুজ ঝড় উঠল রাজ্যজুড়ে। তারইমধ্যে পাহাড়ে তৈরি হল নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ। রাজ্যের ১০৭ টি (দিনহাটায় আগেই জয়ী) পুরসভার ভোটগণনায় একচ্ছত্র দাপট তৃণমূল কংগ্রেসের। বিস্তারিত দেখুন ভিডিয়োয় -
দার্জিলিং পুরসভা: নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ পাহাড়ে। পুরসভা দখল করল নয়া দখল হামরো পার্টি। এককভাবে দার্জিলিং পুরসভা দখল করল নয়া দল। জিএনএলএফ থেকে বেরিয়ে এসে দল তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ে পাত্তা পেল না বিজেপি। ১৭ টি ওয়ার্ডে জয় হামরো পার্টির।
ডালখোলা পুরসভার দখল নিল তৃনমূল কংগ্রেস। ১৪ ওয়ার্ডের পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে ১১ টি ওয়ার্ডে। নির্দল প্রার্থীরা তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছেন।
কোচবিহারে ছয়ে ছয় তৃণমূলের। কোচবিহার, হলদিবাড়ি, দিনহাটা (ভোটের আগেই জিতে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস), তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ এবং মাথাভাঙা পুরসভা থাকল তৃণমূলের দখলে।
ফালাকাটা পুরসভায় জিতল তৃণমূল কংগ্রেস।
কালিয়াগঞ্জ পুরসভা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। মোট ১৭ টি আসনের মধ্যে ১০ টি তৃণমূল কংগ্রেস, ১ টি নির্দল এবং ৬ টি বিজেপি জিতেছে।
জলপাইগুড়ির তিনটি পুরসভাই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে চলে গেল। ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি এবং মাল পুরসভা দখল ঘাসফুল শিবিরের।
দার্জিলিং পুরসভা (৩২ ওয়ার্ড): তৃণমূল জিতেছে একটি ওয়ার্ডে। হামরো পার্টি জিতেছে ১৩ টি ওয়ার্ড। ভারতীয় প্রজাতান্ত্রিক গোর্খা মোর্চা দুটি ওয়ার্ডে জিতেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গেল কোচবিহার পুরসভা। তার ফলে কোচবিহার জেলার পুর এলাকায় স্রেফ উড়ে গেল বিজেপি।
কোচবিহার পুরসভা: ১০ টি ওযার্ডের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। আটটি ওয়ার্ড গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। দুটি ওয়ার্ডে জিতেছে নির্দল। আট নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
ডালখোলা পুরসভা: তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।
হলদিবাড়ি পুরসভা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস।
কোচবিহার পুরসভা: ২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা মা'কে হারিয়ে জয়ী হলেন নির্দল প্রার্থী।
মেখলিগঞ্জ পুরসভায় মোট ন'টি ওয়ার্ড। ইতিমধ্যে পাঁচটিতে জিতে গেল তৃণমূল কংগ্রেস।
তুফানগঞ্জ: তিনটি ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। ১ নম্বর ওয়ার্ডে ১,০৮১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী গৌতম সরকার। ওই ওয়ার্ডে সিপিআইএম প্রার্থী পেয়েছেন ৩০০ টি ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৭২ টি ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ড ১,০৩৪ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুধাংশুশেখর সাহা। সিপিআইএম পেয়েছে ৩০০ টি ভোট। বিজেপি পেয়েছেন২৩৪ টি ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ড ৮০৭ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বিনোদবিহারী বর্মন। সিপিআইএম পেয়েছে ৩৭০ টি ভোট, বিজেপি পেয়েছে ২৩০ টি ভোট।
ভোটগণনা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথাভাঙা পুরসভার দুটি ওয়ার্ডে জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস।
দুই ২৪ পরগনার হাইভোল্টেজ ভোট-যুদ্ধে শেষ হাসি কার? ট্রেন্ড কিছুক্ষণেই আসবে সামনে – বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
শুরু হল ভোটগণনা। ২৫ টি পুরসভায় গণনা হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দিনহাটা পুরসভা ভোটের ১৬ টি ওয়ার্ডেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।
দুই ২৪ পরগনার হাইভোল্টেজ ভোট-যুদ্ধে শেষ হাসি কার? ট্রেন্ড কিছুক্ষণেই আসবে সামনে – বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
১০৮টি পুরসভার ফল প্রকাশ,বাংলার আকাশে উড়বে কোন আবীর? – বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মালদহে দুটি পুরসভা আছে - ওল্ড মালদহ এবং ইংরেজবাজার পুরসভা।
দক্ষিণ দিনাজপুরে দুটি পুরসভা আছে - গঙ্গারামপুর এবং বালুরঘাট পুরসভা।
উত্তর দিনাজপুরে তিনটি পুরসভা আছে - ইসলামপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং ডালখোলা পুরসভা।
আলিপুরদুয়ারে দুটি পুরসভা আছে - ফালাকাটা এবং আলিপুরদুয়ার পুরসভা।
কোচবিহারে ছ'টি পুরসভা আছে - কোচবিহার, হলদিবাড়ি, দিনহাটা (ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস), তুফানগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ এবং মাথাভাঙা পুরসভা।
জলপাইগুড়িতে তিনটি পুরসভা আছে - জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি এবং মাল পুরসভা।
দার্জিলিঙে একটি পুরসভা আছে - দার্জিলিং পুরসভা।
উত্তরবঙ্গে মোট ১৯ টি পুরসভায় ভোটগণনা হবে। দার্জিলিঙে একটি, জলপাইগুড়িতে তিনটি, কোচবিহারে ছ'টি, আলিপুরদুয়ারে দুটি, উত্তর দিনাজপুরে তিনটি, দক্ষিণ দিনাজপুরে দুটি এবং মালদহে দুটি পুরসভা আছে।
আজ উত্তরবঙ্গে পুরসভা ভোটের ‘রেজাল্ট আউট’ হতে চলেছে। আটটি জেলার মোট ২৫ টি পুরসভায় (দিনহাটায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী) ভোটগণনা হবে। যা রাজনৈতিক সমীকরণের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে যে গেরুয়া ঝড় উঠেছিল এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি যে জমি কিছুটা ধরে রেখেছিল বিজেপি, তা পুরভোটেও ধরে রাখতে পারবে কিনা, সেদিকে নজর থাকবে। আবার বিধানসভা ভোটের পর তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি আরও কিছুটা শক্ত হয় কিনা, তাও নজরে আছে রাজনৈতিক মহলের। অন্যদিকে, গত বছর ভরাডুবির পর বাম এবং কংগ্রেসও অক্সিজেনের অপেক্ষায় আছে।