পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে বিভ্রান্তি অব্যাহত রয়েছে তৃণমূলে। রাজ্যজুড়ে দলের নেতাকর্মীদের বিদ্রোহে অনেকটাই অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এরইমধ্যে প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মহেশতলা পুরসভায়। যারফলে মহেশতলা পুরসভায় দলের অন্দরের বিক্ষোভ আরও বেড়েছে। পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে গোপাল সাহা তৃণমূলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা নেতা জগন্ময় পাল।
তিনি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা তাঁর নাম রয়েছে। দেওয়াল লিখনের কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন। কিন্তু, ওই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গোপাল সাহা। তাঁর প্রশ্ন, 'একই ওয়ার্ড থেকে দুজন প্রার্থী কিভাবে হতে পারে?' দলের সিদ্ধান্তে গোপাল সাহা মনোনয়ন জমা দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ তুলেছেন। দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৃদ্ধ বয়সে তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, গোপাল সাহা জানিয়েছেন, তিনি দলের নির্দেশেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'উচ্চ নেতৃত্ব অ্যানেক্সচার দিয়েছে। দলের সিদ্ধান্তে আমি মনোনয়নপত্র পেশ করেছি। আমি অভিষেকের টিমে রয়েছি।' অন্যদিকে এই অ্যানেক্সচারকে ভুয়ো বলে দাবি করেছেন মহেশতলা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান দুলাল দাস। তিনি বলেন, ৩৫ জনের তালিকা দল দিয়েছে সেটাই সঠিক। আরও তিনজন যারা নিজেদের প্রার্থী বলে দাবি করছেন সেটা আসলে ভুয়ো। তারা অ্যানেক্সচার রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন। আসলে বাকি তিনটি হল ভুয়ো। এবিষয়ে দলকে জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে' বলে তিনি জানিয়েছেন।