পুরসভা নির্বাচন শুরু হতেই গণ্ডগোলের ছবি দেখা দিয়েছে। সোনারপুরের বিদ্যানিধি স্কুলে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। বামফ্রন্ট, বিজেপি এবং নির্দল প্রার্থীর এজেন্টকে মারধর করে বের করার অভিযোগ উঠেছে। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে সোনারপুর–রাজপুর পুরসভা। এই পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বুথে ঢুকে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং নির্দল এজেন্টদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যার ফলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বুথে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধীদলের এজেন্টরা। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন।
রবিবার সকাল থেকেই রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন প্রতিটি বুথই স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ ভোটের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রবিবার সকাল থেকেই অন্য ছবি দেখতে পাওয়া গেল। রাজপুর-সোনারপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনার ঘটনায় গ্রেফতার ৭। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।
ঠিক কী ঘটেছে সেখানে? সোনারপুর রাজপুর পুরসভা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যানিধি স্কুলে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে যায়। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতীরা বুথে ঢুকে যায়। তারপর সেই বুথে থাকা নির্দল, কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট এজেন্টদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ক্ষণিকের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভোটপর্ব। বুথের মধ্যে থাকা কাগজপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। বুথের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় এক বামফ্রন্টের এজেন্টকে। তাঁকে ব্যাপক মারধর করে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা।
১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে মোট ২,২৭৬টি বুধ রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে মোট ৪৪ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুথে বুথে মোতায়েন রয়েছে ইএফআর, এসটিএফ এবং কম্যান্ডো। কিন্তু তারপরেই ভোটগ্রহণের শুরুর থেকেই উত্তেজনা দেখা গেল বুথে বুথে। নীরব দর্শক পুলিশ। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে পুলিশকর্মীরা বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী দলের এজেন্টরা। যদিও পরবর্তীতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শেষমেশ পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।