রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাংলোয় আসে পুলিশ। সেখানে ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটও। মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ এই পুরসভা এলাকার ভোটার নন। তাই নির্বাচনের সময় খড়্গপুরে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয় প্রশাসন। এমনকী রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার কপি ধরিয়ে দিয়ে সাংসদকে এলাকা ছাড়ার অনুরোধ করেন তাঁরা। কিন্তু তিনি নিজের বাংলোয় থাকার কথা জানিয়ে দেন। তখন খড়্গপুর থানার পুলিশ তাঁকে নোটিশ দেয়।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই বিষয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘ওনাদের বক্তব্য কোনও রাজনীতিক নেতা যিনি এখানকার ভোটার নন এখানে থাকতে পারবেন না। আমি বলেছি, আমি এখানকার নেতা নই, সাংসদ। এটা আমার রেসিডেন্স। তাই আমি এখানে আছি। খড়গপুরে এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁরা এখানকার ভোটার নয়। তবু রয়েছেন। আমি এখানে থাকব। এতে যদি মনে হয় নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে, আপনি ব্যবস্থা নিন।’
এই বিষয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘মাননীয় সাংসদ এখানে আছেন। যাঁরা পলিটিক্যাল ক্যাম্পেনিং করেন, তাঁরা আগের দিন রাতে এখানে থাকতে পারেন না। তাই ওঁকে অনুরোধ করলাম এখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য। এখানে থাকা যায় না। উনি বিধি লঙ্ঘন করছেন।’ রাতে বিজেপি সাংসদের বাড়িতে পুলিশ–ম্যাজিস্ট্রেট যাওয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে। টানটান উত্তেজনায় চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। দিলীপ ঘোষের এই কাণ্ডকারখানায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ না মানলে সেটা প্রশাসন দেখবে। উনি সাংসদ হয়ে সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে শান্ত জায়গাকে অশান্ত করবেন, সেটা তো নির্বাচন কমিশন নিশ্চয়ই করতে দেবে না।’