রবিবার ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরেও শিলিগুড়ি পুরনিগমে অব্যাহত থাকল হিংসার ঘটনা। উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড। বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনায় দুজন স্থানীয় বাসিন্দা সহ এক বিজেপি প্রার্থী আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। দুটি ঘটনাতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম এবং বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে।
স্থানীয় সূত্র জানা যাচ্ছে, ভোটের পরেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের শহিদ কলোনিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পার্টি অফিসে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সম্পা নন্দীর স্বামী জয়দীপ নন্দীর নেতৃত্বে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ, ওই এলাকার মানুষজন তৃণমূলকে ভোট দেয়নি সন্দেহে প্রথমে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা এক স্থানীয় যুবকের ওপর চড়াও হয়। বিমল দাস নামে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করার খবর পেয়ে ছুটে আসেন তার বৌদি। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ জনতা তৃণমূলের একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে বোমাবাজি এবং গুলি চালানোরও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর আজ রবিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার প্রমুখ। অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘সিপিএমের পার্টি অফিস দখল করার জন্যই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।’ অন্যদিকে, সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা প্রথমে হামলা চালায় বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পার্শ্ববর্তী ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ও বিজেপি প্রার্থীর মধ্যে ঝামেলার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী পার্থ বৈদ্য। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জন শীল শর্মার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। রবিবার এই হামলার প্রতিবাদে শিলিগুড়ির শান্তিনগর বউবাজার থেকে বিজেপি ধিক্কার মিছিল করে।