রাত পোহালেই ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন। আর তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার সোনামুখী, পূর্ব বর্ধমান এবং কামারহাটি। কারণ এই এলাকাগুলিতে শুক্রবার মাঝরাতে একের পর এক বোমা পড়ল। বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মানস চক্রবর্তীর বাড়িতে এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলে খবর।
আবার বিজেপি কার্যালয়ের সামনে বোমা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান শহরজুড়ে। ঘটনাস্থলে বর্ধমান থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বীরহাটা এলাকায়। একইসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার অন্তর্গত ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শপল্লীতে শুক্রবার মাঝরাতে বোমার শব্দে কেঁপে উঠল।
বিজেপি প্রার্থী মানস চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘শাসকদল অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। রাতের অন্ধকারে আমার বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে।’ শনিবার সকালে বিজেপি প্রার্থী মানস চক্রবর্তীর বাড়িতে দেখা করতে যান ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণগোপাল রায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। একইসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী মানস চক্রবর্তীর তোলা অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। কামারহাটি পুরসভার অন্তর্গত ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী অদ্রি রায়ের অভিযোগ, তাঁর বাড়ির সামনে নির্বাচনী প্রচার শেষ হতেই বোমা মারা হয়।
বর্ধমান শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বীরহাটা এলাকায়। শনিবার সকালে বিজেপি নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে দুটি বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই বিষয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুধীরঞ্জন সাউয়ের অভিযোগ, রাত পেরোলেই পুরসভা নির্বাচন। তার আগে এলাকায় সন্ত্রাসের আবহ সৃষ্টির জন্য বোমা ছুড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দূষ্কৃতীরা। কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল বনগাঁ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। উত্তেজিত শতাধিক কর্মী সমর্থকরা দীর্ঘসময় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল। শুক্রবার রাতে বনগাঁ থানার সমনে এই বিক্ষোভ দেখান তিন নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মলয় আঢ্য।