খাতায় কলমে তিনি এখনও তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূলে থেকেও তিনি নাকি বিজেপিতে ভোট দেওয়ার আবেদন করেছেন। এমনই অভিযোগ উঠল সাংসদ শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে। অধিকারী গড় কাঁথিতে দাঁড়িয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মৎসমন্ত্রী অখিল গিরি।
কাঁথি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুপ্রকাশ গিরির সমর্থনে অমর্ত্য পল্লীতে ভোট প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূলের সহ সভাপতি সুব্রত বক্সি। সেই সভায় সুব্রত বক্সি ছাড়াও এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিও। সেখানেই সাংসদ শিশির অধিকারীকে নিশানা করে রাজ্যের মন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, শিশিরবাবু ফোন করে ভোটারদের বিজেপিতে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘অধিকারী পরিবার মিরজাফর। দলের সব কিছু ভোগ করে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রেখেছে। যদি তৃণমূলের বিরোধিতা করা হয়, তাহলে আগে সাংসদ পদ থেকে উনি ইস্তফা দিক। তারপর বিজেপির ঝাণ্ডা ধরে প্রচার করুন।’ দলের রাজ্য নেতৃত্বকে সেই কথা জানিয়েছেন বলেও জানান রাজ্যের মন্ত্রী।
কাঁথি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে সুপ্রকাশ গিরির সমর্থনে অমর্ত্য পল্লীতে ভোট প্রচারে এসেছিলেন তৃণমূলের সহ সভাপতি সুব্রত বক্সি। সেই সভায় সুব্রত বক্সি ছাড়াও এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিও। সেখানেই সাংসদ শিশির অধিকারীকে নিশানা করে রাজ্যের মন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, শিশিরবাবু ফোন করে ভোটারদের বিজেপিতে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘অধিকারী পরিবার মিরজাফর। দলের সব কিছু ভোগ করে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রেখেছে। যদি তৃণমূলের বিরোধিতা করা হয়, তাহলে আগে সাংসদ পদ থেকে উনি ইস্তফা দিক। তারপর বিজেপির ঝাণ্ডা ধরে প্রচার করুন।’ দলের রাজ্য নেতৃত্বকে সেই কথা জানিয়েছেন বলেও জানান রাজ্যের মন্ত্রী।
|#+|
এই প্রসঙ্গে দলের সহ সভাপতি তথা জেলার পর্যবেক্ষক সুব্রত বক্সি জানান, ‘বাংলা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। তৃণমূল এখন নানা লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। সেই বটবৃক্ষে দু–একটা পাতা ঝরে পড়েছে। তাতে কিছু এসে যায় না।’ উল্লেখ্য, শিশির অধিকারীর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরা দুজনে বিজেপিতে যোগ দিলেও আনু্য্ঠানিকভাবে শিশির অধিকারী কিন্তু তৃণমূলেই রয়েছেন। তবে গত বিধানসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সভায় শিশির অধিকারীকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল।