শিলিগুড়ি পুরভোট এবার নজর কাড়ছে গোটা বাংলার। প্রার্থী তালিকাতেও রয়েছে একাধিক চমক। একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। বামেদের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন গৌতম দেবের চির প্রতিদ্বন্দ্বী তথা বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে দাপিয়ে প্রচার করছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিগতদিনের অশোক ভট্টাচার্যের রাজনৈতিক শিষ্য শঙ্কর ঘোষ। সব মিলিয়ে একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
শিলিগুড়ি মডেল: এদিকে রাজনৈতিক দিক থেকে শিলিগুড়ির মাটি বরাবরই একট অন্যরকম। অশোক ভট্টাচার্যের শিলিগুড়ি মডেল একটা সময় কাত করেছিল তৃণমূলকেও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এবার তলায় তলায় কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া হয়েছে সিপিএমের। সেক্ষেত্রে পুরনিগম দখলে বামেদের ভরসা বলতে শিলিগুড়ির রূপকার বলে পরিচিত সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের ইমেজ,কংগ্রেসের প্রচ্ছন্ন সমর্থন ও গোপন রাজনৈতিক কৌশল। আর এই গোপন কৌশলই বামেদের বড় অস্ত্র। অশোক ভট্টাচার্যের সাফ কথা, পুরবোর্ড আমরাই গড়ব। পলিটিকাল টুরিস্টদের দিয়ে প্রচার করছে ওরা। এতে কাজ হবে না।
মর্যাদার লড়াই: শিলিগুড়িতে এবার তাল ঠুকছে তৃণমূল। গোটা রাজ্য জুড়ে যখন সবুজ সুনামি তখনও বার বার শিলিগুড়ি দখলে ব্যর্থ হয়েছিল ঘাসফুল শিবির। সেক্ষেত্রে এবারের ভোট গৌতম দেবের কাছে কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট। অনেকের মতে, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে এবারের পুরভোটে। তবে প্রশ্ন উঠছে দলীয় দ্বন্দ্বের কাঁটা কি এবারও বিপাকে ফেলবে তৃণমূলকে? নাকি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতেই বাজিমাত হবে?
জোর টক্কর: বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপির নীচুতলার কর্মীরা কিছুটা মনমরা। তবে শহর শিলিগুড়ির একাধিক ওয়ার্ডে এবারের বিধানসভা ভোটেও ভালো ফল করেছিল বিজেপি। কিন্তু এবার পুরভোটে দুর্বল সংগঠন নিয়ে বিজেপি কতটা যুঝতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেস ক্রমেই প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে শিলিগুড়িতে।
হাতেগরম ইস্যু: স্মার্ট সিটি, পরিচ্ছন্ন শিলিগুড়ি, যানজটমুক্ত শিলিগুড়ি, বিধান মার্কেটের আধুনিকীকরণ, নিকাশি ও পানীয় জলের সুব্যবস্থা, দুষণমুক্ত মহানন্দা সহ নানা প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে ভোট বাজারে হাজির রাজনৈতিক দলগুলি।