রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটগ্রহণে রবিবার ব্যাপক সন্ত্রাস ও বেনিয়মের পর রাজ্যপালের ধমক খেয়ে ২টি বুথে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরনোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে বিদ্রুপ করেছে বিরোধীরা।
সোমবার সন্ধ্যায় কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাজ্যের ২টি বুথে ফের ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগ্রহণ হবে শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথে ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বুথে।
কমিশনের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠছে, রবিবার ভোটগ্রহণের দিন রাজ্যে যে ২৪টি ইভিএম ভাঙা হয়েছিল, সেখানে ফের ভোটগ্রহণ নয় কেন? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। যে ইভিএমগুলি ভাঙা হয়েছে তার প্রত্যেকটির ব্যালট ইউনিট সুরক্ষিত রয়েছে। ফলে ভোটগণনায় সমস্যা হবে না।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ২টি বুথে ভোট হবে বলে লিখে দিয়েছেন তাই হচ্ছে। তবে ২টি বুথে আবার ভোট না করালেই ভালো হত। রবিবার রাজ্যজুড়ে শান্তিপূর্ণ ছাপ্পা হয়েছে। এই নির্বাচন কমিশনের তথ্য জোগাড় করার ক্ষমতাও নেই।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘যা নবান্ন তাহাই নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে গণতন্ত্রের নামে প্রসহন চলেছে।’